তুরস্ক-সিরিয়ার ভূমিকম্পে ক্রমেই বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা। শেষ পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রায় সাড়ে ৪ হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে এখনও বহুতলগুলির ধ্বংসাবশেষের নীচে চাপা রয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।
ভারতীয় সময় সোমবার ভোরে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে তুরস্ক ও সিরিয়ার বেশ কিছু শহর। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, বেশীরভাগ মানুষ তখন ঘুমাচ্ছিলেন। সেই সরে৭.৮ মাত্রার কম্পনে ভেঙে পড়ে একাধিক বহুতল। দুই দেশের বিভিন্ন শহর মিলিয়ে ৫ হাজারের বেশি বিল্ডিং সম্পূর্ণ ও আংশিকভাবে ভেঙে পড়ে। লেবানন, গ্রীসেও একাধিক বহুতল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মৃতদের মধ্যে বয়স্ক থেকে শিশু সকলেই আছে।
জরুরি পরিষেবায় উদ্ধারকার্য চালানো হচ্ছে। ভারত, নিউজিল্যান্ড সহ ২০টি দেশ সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে অনুমান করা হচ্ছে মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়াতে পারে। কারণ এখনও বহু জায়গায় উদ্ধার কাজ বাকি রয়েছে।
ভূমিকম্পের পরে প্রায় ৫০ বার আফটার শক হয়েছে। বৃষ্টি ও তুষারপাতের জন্য বারবার ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকার্য। তুরস্কের উদ্ধারকারী দলগুলি মারফত জানা গেছে, ১৪ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। সিরিয়ায় আহতের সংখ্যা ৩ হাজারের বেশি।
এই ভূমিকম্প কার্যত ১৯৩৯ ও ১৯৯৯ সালের স্মৃতিকে মনে করিয়ে দিচ্ছে। তুরস্কে সবথেকে বেশি মৃত্যু হয়েছিল ১৯৩৯ সালে। সেক্ষেত্রেও ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৮। কেন্দ্রস্থল আরজিনকান প্রদেশের আরজিনকান শহর। প্রায় ৩৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ১৯৯৯ সালে ভয়াবহ ভূমিকম্প (৭.৬) হয় ইজমিত জেলায়। সেই সময় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৭০০০-র বেশি মানুষ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন