শ্রমিকদের মজুরি অবিলম্বে ঘন্টা প্রতি ১৫ পাউন্ড করতে হবে। এ নিয়ে ‘যত দ্রুত সম্ভব’ সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। মঙ্গলবার, এমনই দাবি জানিয়েছে ব্রিটেনের ট্রেডস ইউনিয়ন কংগ্রেস (TUC)।
সংবাদ সংস্থা DPA জানিয়েছে, যে হারে মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে, সে তুলনায় মজুরি বাড়েনি ব্রিটেনে। ফলে, স্বাভাবিক ভাবে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ বেড়েছে।
গত সপ্তাহে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস (ONC)। যে রিপোর্ট অনুসারে, জুন থেকে গত ৩ মাসে রেকর্ড হারে মুদ্রাস্ফীতি ঘটেছে, অন্যদিকে শ্রমিকদের বেতনের মূল্য কমেছে।
গত ৩ মাসে, বোনাস ছাড়া শ্রমিকদের বেতন বেড়েছে মাত্র ৪.৭ শতাংশ। উল্টোদিকে, ব্রিটেনের ৪০ বছরের ইতিহাসে সকল রেকর্ড ছাপিয়ে মুদ্রাস্ফীতি পৌঁছেছে ৯.৪ শতাংশে।
চলতি সপ্তাহে, ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় বন্দর ফেলিক্সস্টো-তে ধর্মঘট শুরু করেছে শ্রমিকরা। কমিউনিকেশন ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের (CWU) সদস্য বা রয়্যাল মেল দপ্তরের কর্মীদের ধর্মঘটের জেরে ব্যাহত হচ্ছে ডাক সরবরাহ ব্যবস্থা।
আবার, ন্যূনতম মজুরির দাবিতে শুক্রবার থেকে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ডেইলি মিরর (Daily Mirror)-এর সাংবাদিকরা।
ব্রিটেনে, বর্তমানে ২৩ বছর বা তার বেশি বয়সী কর্মীদের ন্যূনতম মজুরি হল ৯.৫ পাউন্ড। এই মজুরি ন্যূনতম ১৫ পাউন্ড করার দাবি জানিয়েছে ব্রিটেনের ট্রেডস ইউনিয়ন কংগ্রেস (TUC)।
TUC-এর সাধারণ সম্পাদক ফ্রান্সিস ও'গ্র্যাডি বলেন, ‘প্রত্যেক শ্রমিকের জীবনযাত্রার মান সচল করতে সক্ষম হওয়া উচিত৷ কিন্তু, লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের বেতন খুবই কম। প্রায় ফাঁকা পকেটেই তাঁদের জীবনযাপন করতে হচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতির জেরে জীবন সংগ্রামে তাঁরা চোখের জল ফেলছেন।’
একইসঙ্গে ফ্রান্সিস বলেন, ‘আমরা সঙ্কট থেকে অতিসঙ্কটের দিকে ঝুঁকতে পারি না৷ শ্রমিকদের পরিবারগুলির দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক নিরাপত্তা প্রয়োজন। এর অর্থ, স্থবির মজুরির ধ্বংসাত্মক প্রবণতাকে আটকানো৷ তাই সরকারের উচিত, স্বল্প বেতন খাতে ন্যায্য বেতন চুক্তি প্রবর্তন করা।’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন