রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে নামতে নারাজ হোয়াইট হাউস। স্পষ্ট বার্তা দিল মার্কিন প্রশাসন। একদিন আগেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আমেরিকা। তারপর সরাসরি ইউক্রেনে সেনা পাঠিয়ে যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দিয়েছে রাশিয়া। প্রথমে মনে করা হচ্ছিল যে, রাশিয়ার যুদ্ধ করার এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করবে আমেরিকা। কিন্তু বাস্তবে কিছুটা অন্য চিত্র দেখা গেল। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন জানিয়েছেন, ন্যাটোর সহযোগী দেশ, বিশেষত ইউরোপের পূর্বদিকে যে দেশগুলো রয়েছে, তাদের পাশে থাকতে আমেরিকা থেকে অতিরিক্ত সেনাবাহিনী পাঠানো হয়েছে। তবে তারা ইউক্রেনে গিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করবে না।
বৃহস্পতিবার বাইডেন বলেন, আমরা ন্যাটোকে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে ইউ পদক্ষেপ করছি। আগামিকাল ন্যাটোর ৩০টি দেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক ঠিক হবে, এর পরে কী করা যায়।' গত বছর ইউক্রেনকে ৬৫ কোটি মার্কিন ডলার দিয়ে সাহায্য করেছে আমেরিকা। তিনি আরও জানান, আমেরিকা সব বাহিনীর শক্তি দিয়ে ন্যাটো-ভুক্ত প্রত্যেক ইঞ্চি জমি রক্ষা করবে। ন্যাটো এখন আগের থেকে অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ।
তিনি বলেন, 'আমেরিকা ও ন্যাটোর সহযোগী প্রতিটি দেশ আমাদের পাঁচ নম্বর ধারার প্রতিশ্রুতি মেনে চলবে, সেব্যাপারে সন্দেহ নেই। ওই ধারায় বলা হয়েছে, একটি রাষ্ট্রে আক্রমণ মানে সবার উপর আক্রমণ।' রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই ন্যাটো জোটবদ্ধ হয়ে সাড়া দিয়েছে। তাই তার প্রত্যুত্তরে সেনাবাহিনী পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান। গত কয়েক সপ্তাহে আমেরিকা থেকে কয়েক হাজার সেনা জার্মানি আর পোল্যান্ডে গিয়েছে। বেলারুশ ও ব্ল্যাক সি-তে রাশিয়ার সেনাবাহিনী থাকায় ন্যাটোর পূর্ব দিকের সহযোগী এস্তোনিয়া, লাতভিয়া, লিথুয়ানিয়া, পোল্যান্ড এবং রোমানিয়ায় আমেরিকার স্থল ও বায়ু সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
যদিও পুতিনের এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রাশিয়াকে অর্থনৈতিক ও কৌশলী ভাবে চাপে রাখতে বাইডেন হুঁশিয়ারি দেন, আন্তর্জাতিক মঞ্চে পুতিনকে একঘরে করে দেব। প্রসঙ্গত, আজ যুদ্ধের দ্বিতীয় দিনে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের আরও কাছে চলে গেছে রুশ সেনা। চলছে রাশিয়ার বিমানহানাও। রাশিয়া রাজধানী কিয়েভে রকেট হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন