রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন-এর শর্তই মেনে নিতে চলেছে ইউরোপের দেশগুলি। ইউক্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর রাশিয়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে, ইউক্রেনকে সমর্থন করলে তার ফল ভুগতে হবে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ, পড়ুয়ারা পোল্যান্ড, বুলগেরিয়া সীমান্ত দিয়ে নিজেদের দেশে ফেরেন। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে রাশিয়া। তার ফলস্বরূপ এই দুই দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় মস্কো।
যদিও রুশ জ্বালানি সরবরাহকারী সংস্থা গ্যাজপ্রোম জানিয়েছিল, রুবেলে তারা টাকা দিতে না পারায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। এরপরেই নড়েচড়ে বসে ইউরোপে। রাশিয়ার শর্ত মেনেই জ্বালানি কেনার জন্য ইতিমধ্যেই জার্মানি, অস্ট্রিয়া-সহ বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় জ্বালানি সংস্থা সক্রিয় হয়েছে।
গ্যাজপ্রোম জানিয়েছে, ডলার বা ইউরো নয়, মস্কোর সহযোগী নয় এমন দেশগুলিকে তেল কিনতে হলে দাম মেটাতে হবে রুবেলে। সে জন্য গ্যাজপ্রোমের ব্যাঙ্কে পৃথক অ্যাকাউন্টও খুলতে হবে। জার্মান সংস্থা ইউনিপার সেই শর্ত মেনে ইউরোপে একটি রুশ ব্যাঙ্কের শাখায় জ্বালানির দাম মেটানোর জন্য অ্যাকাউন্ট খুলছে। একই বার্তা দিয়েছে অস্ট্রিয়ার জ্বালানি সংস্থা ওএমভিজেএফও।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার মস্কো জানিয়েছিল, জ্বালানির দাম মেটানোর জন্য ইউরোপের অন্তত ১০টি কোম্পানি গ্যাজপ্রোমের ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলেছে। রাশিয়াকে বাণিজ্যিক ও সামাজিক ভাবে বয়কট করার ডাক দিয়েছিল আমেরিকা ও তার সহযোগী পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলি। রাশিয়ার ওপর নানা ভাবে চাপও প্রয়োগ করা হয়েছিল।
কিন্তু জ্বালানির জন্য ইউরোপ রাশিয়ার উপর নির্ভরশীল। এই পরিস্থিতিতে ইউরোপের দেশগুলি রাশিয়া থেকে জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে পুতিনের শর্ত মেনে নিতে শুরু করেছে। এর জেরে ওয়াশিংটন দুর্বল হয়ে পড়বে বলেই অনুমান বিশ্ব রাজনৈতিক মহলে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন