রাজধানী কিয়েভের রাস্তায় চলছে গুলির লড়াই। সাধারণ মানুষ কার্যত দিশেহারা। সবাই রাজধানী ছেড়ে অন্যত্র পালানোর চেষ্টা করছেন। তাৎপর্যের বিষয়, বহু ভারতীয় এখনও ইউক্রেনে আটকে রয়েছেন। তার মধ্যে একটা বড় অংশই পড়ুয়া। স্বল্প খরচে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ রয়েছে যে সেদেশে। কিন্তু তাঁদের স্বপ্ন এখন অথৈ জলে। কোনোমতে প্রাণ হাতে দেশে ফিরতে আগ্রহী।
মাঝে মাঝেই গর্জে উঠছে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান। আতঙ্কে কিয়েভবাসী আশ্রয় নিয়েছেন বাঙ্কারে। তাঁদের ‘উদ্ধার’ করার প্রস্তাব দিল আমেরিকা। কিন্তু সেই প্রস্তাব গ্রহণ করলেন না ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। মার্কিন মুলুকের ‘সাহায্য’ প্রত্যাখ্যান করলেন। তিনি স্পষ্ট জানালেন, তাঁর গোলা-বারুদ দরকার। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে দুই দেশের আলোচনায় ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘লড়াই এখানে; আমার রাইড নয়,গোলাবারুদ দরকার।' তাঁর এই দাবি জানা গিয়েছে সংবাদ সংস্থা সূত্রে।
উল্লেখ্য, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভকে ঘিরে ফেলেছে রাশিয়ার সেনা। এই আবহে সেদেশের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব রটেছিল। এরপর এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি দেশে আছেন বলে আশ্বস্ত করেন। শুধু তাই নয়, তিনি দেশবাসীকে রাশিয়ার সেনার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন।
এক ভিডিয়ো বার্তায় সবুজ রঙের সামরিক ধাঁচের পোশাক পরে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা সবাই এখানে আছি। আমাদের সেনাবাহিনী এখানে আছে। নাগরিকরা এখানে। আমরা এখানে সবাই আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের দেশকে রক্ষা করছি। এই কাজ আমরা এভাবেই করতে থাকব।’ তাঁর পাশেই দাঁড়িয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী, তাঁর চিফ অফ স্টাফ এবং ঘনিষ্ঠ সহকারীরা।
অন্যদিকে, বেশকিছু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার প্রস্তাব মেনে আলোচনার টেবিলে বসতে প্রস্তুত। তবে সেই খবর গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন জেলেনস্কি। তিনি জানিয়েছেন - ইতিমধ্যেই কিয়েভের রাস্তায় গুলির লড়াই শুরু হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন