রাষ্ট্রপুঞ্জে মানবাধিকার পরিষদে রুশবাহিনীর অত্যাচারের বিষয়ে আনা প্রস্তাবে আবার ভোটদানে বিরত থাকল ভারত। ভারতের সাথে আরও ১২ টি দেশ এই ভোটদানে অংশ নিল না। যাদের মধ্যে আছে পাকিস্তানেরও নাম।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদের ৩৪ তম অধিবেশনে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে এক প্রস্তাব পেশ করা হয়। নয়া দিল্লীর তরফ থেকে নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করতে দেখা যায়। রাষ্ট্রপুঞ্জে থাকা ভারতের প্রতিনিধি ইন্দ্রমনি পান্ডে বলেন, “ভারত সর্বদা সমস্যা সমাধানের জন্য আওয়াজ তুলেছে। ভারত ইউক্রেন থেকে ২২,৫০০ ভারতবাসীকে উদ্ধার করেছে। মানুষের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, ওষুধ এবং অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী ইউক্রেন ও তার পার্শ্ববর্তী দেশগুলিতে পাঠিয়েছে ভারত”।
কমিশনে প্রস্তাব গ্রহণ করার পর অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায় মানবাধিকার কমিশনে ভারত বাদে বলিভিয়া, পাকিস্তান, আর্মেনিয়া, কিউবা, সেনেগাল, উজবেকিস্তান, ভেনিজুয়েলা, কাজাকাস্তান, সুদান, নামিবিয়া ও ক্যামেরুন ভোটদানে অংশ নেয়নি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার বিরোধিতা করে এর আগে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব পেশ করা হয়েছিল। যৌথভাবে প্রস্তাব আনে আমেরিকা ও আলবেনিয়া। ভোটাভুটিতে অংশ নেয়নি ভারত। সীমান্ত ইস্যুতে ভারত ও চীন একে অপরের বিরোধী হলেও এই ইস্যুতে তারা একই পথের পথিক। একইভাবে ভারত-চীনের পথ অনুসরণ করেছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও।
রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস তিরুমূর্তি বলেছিলেন ‘ইউক্রেনে সম্প্রতি যা ঘটেছে, ভারত তাতে উদ্বিগ্ন। অবিলম্বে এই হিংসার পথ থেকে যাতে সরে এসে সবাই, সেই আবেদন করছি। মানুষের জীবনের বিনিময়ে কখনও কোনও সমাধান সূত্র আসে না। এই আবহে কূটনৈতিক আলোচনার পথ যদি বন্ধ হয়, তবে তা অত্যন্ত হতাশার। কিন্তু আমাদের কূটনীতির পথে ফিরতে হবে। তাই ভারত ভোটদান প্রক্রিয়ার থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন