ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাস মঙ্গলবার আটকা পড়া নাগরিকদের যে কোনও উপায়ে অবিলম্বে কিয়েভ ছেড়ে যেতে বলেছে। কারণ যুদ্ধ ইউক্রেনের রাজধানী শহরে পৌঁছেছে।
ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, "শিক্ষার্থী সহ সমস্ত ভারতীয় নাগরিকদের আজ দ্রুত কিয়েভ ত্যাগ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ ট্রেন বা অন্য প্রাপ্ত যে কোনো সুবিধার মাধ্যমে দ্রুত কিয়েভ ছাড়তে হবে।" আরও বলা হয়েছে, রাশিয়ান সৈন্যরা কিয়েভের রাস্তায় পৌঁছেছে এবং কিয়েভে বিমান হামলা শুরু হবে।
আজ সকালে ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে, ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে দূতাবাসের কাছাকাছি থাকা ৪০০ শিক্ষার্থী মিশনের প্রচেষ্টার মাধ্যমে সফলভাবে ট্রেনে কিয়েভ ছেড়েছে। দূতাবাস জানিয়েছে, "কিয়েভ থেকে পশ্চিম সীমান্তের দিকে ১,০০০ জনেরও বেশি ভারতীয় ছাত্রের যাওয়া নিশ্চিত করা হয়েছে।"
যদিও এরপরেও বেশ কিছু ছাত্র কিয়েভে ছিলো। এখন দূতাবাস সমস্ত ভারতীয় নাগরিককে জরুরী ভিত্তিতে শহর ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
সোমবার, ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাস আটকা পড়া নাগরিকদের জানিয়েছিল যে কিয়েভে সপ্তাহান্তে কারফিউ তুলে নেওয়া হয়েছে এবং তাদের রেলস্টেশনের দিকে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
দূতাবাসের বিবৃতিতে জানানো হয়েছিলো "সমস্ত ছাত্রদের পশ্চিম অংশে রেলওয়ে স্টেশনে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।" দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানায়, ডিনিপ্রোর বাঁ দিকে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য, মেট্রো এবং বাস রয়েছে, যা রেল স্টেশনে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। ইউক্রেন রেলওয়ের পক্ষ থেকে শহর ছাড়ার জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দূতাবাস জানিয়েছে, "আমরা আন্তরিকভাবে সমস্ত ভারতীয় নাগরিক/ছাত্রদের শান্ত, শান্তিপূর্ণ এবং ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য অনুরোধ করছি।"
রেলওয়ে স্টেশনগুলিতে বড় ভিড় হতে পারে। তাই সমস্ত ভারতীয় ছাত্রদের ধৈর্যশীল, সংযত এবং বিশেষত রেলওয়ে স্টেশনগুলিতে আক্রমণাত্মক আচরণ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। দূতাবাস জানিয়েছে, আটকে থাকা নাগরিকরা ট্রেনের সময়সূচীতে বিলম্ব, এমনকি মাঝে মাঝে বাতিল এবং দীর্ঘ লাইনের মুখোমুখি হতে পারে।
ভারতীয় ছাত্রদেরকে সহজে চলাফেরা নিশ্চিত করার জন্য তাদের পাসপোর্ট, পর্যাপ্ত নগদ, রেডি খাবার, সহজলভ্য শীতের পোশাক এবং শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নেবার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। দূতাবাস জানিয়েছে, "সর্বদা আপনার জিনিসপত্র সম্পর্কে সচেতন থাকুন।" দূতাবাসের পরামর্শের পরে, অনেক ছাত্র ট্রেনে কিয়েভ ছেড়ে গেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন