গোটা ইউক্রেন ছেড়ে রাশিয়া শুধু পূর্বদিকে নজর দিয়েছে। এরকমটা মনে করছিলেন সকলে। কারণ, প্রায় সপ্তাহ দুয়েক কিয়েভের পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত ছিল। রুশ সেনাবাহিনী দখল করা এলাকা ছেড়ে পিছু হটে। সম্প্রতি ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্রে রুশ যুদ্ধজাহাজ মস্কভা ধ্বংস হয়। তারপরই ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে কিয়েভ। ইউক্রেনের রাজধানীতে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় মস্কো।
মস্কভা ধ্বংস করে ইউক্রেন নেপচুন ক্ষেপণাস্ত্র। তার পাল্টা হিসাবে প্রথমেই কিয়েভের কাছে ওই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কারখানায় রকেট ছোড়ে মস্কো। মস্কোর দাবি, এটা তাদের ‘বিশেষ সেনা অভিযান’। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ এবং পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়েকটি শহরে আক্রমণের তীব্রতা অনেকটা বাড়িয়েছে রাশিয়া। নাগাড়ে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ছে ইউক্রেনের শহরগুলিতে।
অন্যদিকে পূর্বদিকে ইউক্রেনের শেষ প্রতিরোধ কেন্দ্র মারিয়ুপোলের পতন আসন্ন। দীর্ঘদিন ধরে এই শহরকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে রাশিয়ান সেনাবাহিনী। প্রায় পুরো শহর এখন রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। তবে এখানকার এক ইস্পাত প্ল্যান্টে কিছু ইউক্রেনের সেনাবাহিনী এখনও রয়ে গেছে। প্রসঙ্গত, এরা তথাকথিত ইউক্রেনের সেনাবাহিনী নয়। এরা ‘অ্যাজভ ব্যাটেলিয়ন’ নামে পরিচিত। যারা মূলত স্বেচ্ছাসেবক। তবে রাশিয়া তাদের নব্য-নাৎসি হিসাবে বিবেচনা করে।
আত্মসমর্পণ করলে কাউকে প্রানে মারা হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল রাশিয়া। সেইমতো এক হাজারেরও বেশি সেনা আত্মসমর্পণ করেছে, কিন্তু কিছু ‘অ্যাজভ ব্যাটেলিয়ান’-র সদস্য এখনও রয়ে গেছে ইস্পাত কারখানার মধ্যেই।
রাশিয়ার বক্তব্য, ইউক্রেনকে মদত দিচ্ছে পশ্চিমের দেশগুলি। লড়াই যে ন্যাটোর বিরুদ্ধেই। ক্রেমলিন হুঁশিয়ারি দিয়েছে, এভাবে পশ্চিমের দেশগুলো ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করার পরিণতি হবে ভালো হবে না। এদিকে, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও আরও কয়েকজন মন্ত্রীর রাশিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মস্কো। ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর জন্যই এই পদক্ষেপ মস্কোর।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন