এটাই হয়তো শেষবার। আর হয়তো মার্কিনী খাবারের স্বাদগ্রহণ হবে না কোনওদিন। তাই শেষবারের মতো মস্কোর ম্যাক’ডি রেস্তোঁরার ড্রাইভ-থ্রুতে দেখা গেল লম্বা লাইন। পছন্দের খাবার খাওয়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছে রাশিয়ানদের মধ্যে। সৌজন্যে ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধ পরবর্তী পরিস্থিতি।
যুদ্ধের ঘোষণা, নীতি ঠিক করেন রাষ্ট্রপ্রধান। কিন্তু তার জের পোহাতে হয় আমজনতাকে। এই যুদ্ধেও তার ব্যতিক্রম হল না। ইতিমধ্যেই একাধিক বিদেশি সংস্থা রাশিয়া থেকে নিজেদের ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। এবার সেই তালিকায় নাম লিখিয়েছে পেপসি, কোকাকোলা, ম্যাকডনাল্ডস, স্টারবাকসের মতো সংস্থাগুলো।
ম্যাকডোনাল্ডের প্রেসিডেন্ট ও সিইও ক্রিস কেম্পজিনস্কি কর্মীদের উদ্দেশে খোলা চিঠিতে লিখেছেন, ইউক্রেনে যে অমানবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা উপেক্ষা করা যায় না। এটা আমাদের মূল্যবোধের পরিপন্থী। আপাতত রাশিয়ায় ৮৫০টি আউটলেট বন্ধ করে দিচ্ছে ম্যাকডনাল্ডস।
তবে বন্ধ হয়ে যাওয়া কর্মীদের বেতন দেবে কোম্পানি। চিঠিতে লেখা রয়েছে, বন্ধ হয়ে যাওয়া আউটলেটে কাজ করা প্রায় ৬২ হাজার কর্মীকে বেতন দেবে সংস্থা।
প্রসঙ্গত, মস্কোর পুশকিন স্কোয়ারে ১৯৯০ সালে প্রথম রেস্তোঁরা খুলেছিল ম্যাকডনাল্ডস। প্রথমবার মার্কিন খাবারের স্বাদ পেতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন রুশবাসীরা। এরপর সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙেছে। বিশ্বায়ন হয়েছে মার্কিন খাবারের। কিন্তু এরই মধ্যে যুদ্ধ সব কিছু ওলটপালট করে দিচ্ছে।
স্টারবাকসও রাশিয়ায় পুরোপুরি ব্যবসা বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেছে। আগে আগে সংস্থাটি জানিয়েছিল রাশিয়ায় তাদের ১৩০টি স্টোর থেকে যে আয় হয়েছে, তা তারা ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলায় যুদ্ধবিধ্বস্তদের দান করবে। এদিকে কোকাকোলাও রাশিয়ায় ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোকের সবচেয়ে বড় বাজার রাশিয়া। রাশিয়ায় কোকের ১০টি বটলিং ফ্যাক্টরি আছে। কোকাকোলার পথে হেঁটে পেপসিও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারাও সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ৪০ হাজার রুশ কৃষক ও ২০ হাজার কর্মচারীকে সাহায্য করবে বলে জানিয়েছে। রাশিয়ায় ব্যবসা বন্ধ করছে বলে জানিয়ে দিয়েছে জেনারেল ইলেকট্রিকসও।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন