ইউক্রেনবাসীর মত্যু হলে তার জন্য এখন থেকে দায়ী থাকবে ন্যাটো (NATO)। এভাবেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি হুঁশিয়ারি দিলেন। ইউক্রেনের উপর বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা (নো-ফ্লাই জোন) জারি করা হবে না। এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাটো। তার পরিপ্রেক্ষিতেই জেলেনস্কি জানিয়েছেন, এখন থেকে কোনও ইউক্রেনবাসীর মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবে তারাই।
ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘর্ষ পর প্রায় দিন দশেক কেটে গিয়েছে। যুদ্ধের তীব্রতা ক্রমশ বাড়ছে। গোলাগুলির আওয়াজের ব্যবধান ক্রমশ কমছে। গোটা দেশই একপ্রকার বিধ্বস্ত। বেশ কয়েকটি শহর কার্যত তছনছ হয়ে গিয়েছে।
পাশাপাশি এই পরিস্থিতিতে যাতে ইউক্রেনের আকাশপথে রাশিয়া বিমান হামলা চালাতে না পারে, তার জন্য ইউক্রেনের আকাশকে 'নো ফ্লাই জোন' ঘোষণা করার আবেদন জানান রাষ্ট্রপতি। এই নির্দেশিকা জারি হলে তা অমান্য করে রাশিয়া হামলা চালালে তা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করার শামিল হত।
কিন্তু জেলেনস্কির এই আবেদনে সাড়া দেয়নি ন্যাটো। বরং এই আবেদন মেনে নিতে অস্বীকার করে। আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সরাসরি জানিয়ে দেন যে, ইউক্রেনে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করলে ইউরোপে সরাসরি যুদ্ধ শুরু হতে পারে। এই কারণেই ন্যাটো এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ন্যাটোর এই সিদ্ধান্তেরই প্রতিবাদ করে জেলেনস্কি বলেন, ‘ন্যাটোভুক্ত দেশগুলির ব্যাখ্যা শুনে মনে হয় ইউক্রেনের আকাশপথে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করলে তা ন্যাটোর বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসনকে উস্কে দেবে। ফলে তারা নিজেদের দুর্বল ও নিরাপত্তাহীন বলেই প্রমাণিত করছে। অথচ তাদের কাছে আমাদের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী অস্ত্র রয়েছে।’
ন্যাটোকে উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, ‘ইউক্রেনের আকাশে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি না করে এই দেশের শহর ও গ্রামে আরও বেশি করে যাতে বোমা হামলা চালানো যায়, তার সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন। আপনারা চাইলে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারতেন। কিন্তু তা আপনারা করলেন না।’
শুক্রবার ন্যাটোর শীর্ষ অধিবেশনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই অধিবেশনকেও ‘দুর্বল এবং বিভ্রান্তিকর’ বলে উল্লেখ করেন জেলেনস্কি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন