যুদ্ধের গোড়াতেই রাশিয়া হুমকি দিয়েছিল, ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ালে তাদের দাম চোকাতে হবে। পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়া ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ায়। অন্যান্য শক্তিধর দেশের মতো এই দুটি ছোট দেশও সাধ্যমত সামরিক সাহায্য করেছে ইউক্রেনকে। তার ফলও পেতে শুরু করেছে এই দুই দেশ। জ্বালানি সরবরাহ করছে না রাশিয়া। তবে একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, আজ কিছুক্ষণের জন্য পোল্যান্ডে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হলেও পরে তা চালু করা হয়। বুলগেরিয়ার বিষয়টি অবশ্য সাময়িক নয়।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডের লেয়েন বলেন, 'আরও একবার রাশিয়া জ্বালানির বিষয়টিকে সামনে এনে ব্ল্যাকমেল করল।’ রুশ জ্বালানি সংস্থা ‘গ্যাজপ্রোম’-এর জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করার সিদ্ধান্তকর ‘অযৌক্তিত’ ও ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে আক্রমণ করেছেন উরসুলা।
গ্যাজপ্রোমের অবশ্য দাবি, পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়া জ্বালানির মূল্য রুবেলে দিতে পারেনি। তাই এই সিদ্ধান্ত। ‘ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি’–র কর্তা ফাতি বিরোল টুইটারে লিখেছেন, ‘জ্বালানিকে যুদ্ধের অস্ত্র করছে রাশিয়া।’
আজ এই ঘটনার পরে জরুরি বৈঠকে বসে ইইউ-এর সদস্য দেশগুলি। বুলগেরিয়ার শক্তি-মন্ত্রী আলেকজান্ডার নিকোলোভ বলেন, ‘কোনও চাপের মুখেই নতি স্বীকার করব না। বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হবে।’ রাশিয়া অবশ্য ‘হুমকি’ দিয়েছে— প্রয়োজন মনে করলে ইউরোপে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
সব মিলিয়ে ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার সংঘর্ষ থামার কোনও লক্ষণ দেখতে পাচ্ছেন না আন্তর্জাতিক কূটনীতিবিদরা। হামলার তীব্রতা আরও বাড়িয়েছে রাশিয়া। প্রায় গোটা ডনবাস অঞ্চল রুশ বাহিনীর দখলে। শুধু তাই নয়, তাদের পাখির চোখ ইউক্রেনের পূর্ব ভাগ ও দক্ষিণের সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলো।
ইতিমধ্যে উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলের বেশ কয়েকটি অঞ্চল থেকে পিছু হটেছে ইউক্রেনের সেনা। জাপুরিজিয়ায় পশ্চিমের পাঠানো বিপুল অস্ত্রভান্ডার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন