চের্নোবিলের পর এবার জাপোরিঝিয়া পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র দখল করল রাশিয়া। সমগ্র ইউক্রেনের বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যত বন্ধ করে দিল পুতিনের দেশ। এর ফলে ইউক্রেনের একটা বড় অংশ অন্ধকারে ডুবে আছে। বেকায়দায় ইউক্রেনের সেনাবাহিনীও।
জাপোরিঝিয়ার অবস্থান দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের এনেরহোদার শহরে ডনিপার নদীর কাছে কাখোভকা জলাধারের তীরে। যেটা ডনবাস অঞ্চল থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই পারমাণু কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে ছয়টি চুল্লি। এটি ইউক্রেনের এক-পঞ্চমাংশ স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। তাই পরমাণু কেন্দ্র দখল হয়ে যাওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই ইউক্রেনের সরকারি কর্মচারীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
ইউক্রেনের কিছু সংবাদ সংস্থা দাবি করেছে, এই জাপোরিঝিয়া পরমাণু কেন্দ্রটি ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শুধু পরমাণু কেন্দ্র দখল করে পুতিন থেমে থাকবে না।
সব মিলিয়ে ইউক্রেনের সাথে রাশিয়ার সংঘর্ষ থামার কোনও লক্ষণ দেখতে পাচ্ছেন না আন্তর্জাতিক কূটনীতিবিদরা। হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে রাশিয়া। এবার তাদের পাখির চোখ মূলত ইউক্রেনের বিভিন্ন শক্তিকেন্দ্রগুলির দিকে।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া ইউক্রেনের উত্তর দিক থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে আগেই। রাশিয়ার দাবি, উত্তরের কিয়েভ শহর সংলগ্ন এলাকায় তাদের সামরিক অভিযান সম্পূর্ণ হয়েছে। ইউক্রেন সেনাবাহিনীর অবশ্য দাবি, প্রতিরোধের মুখে পিছু হটেছে রাশিয়া। এদিকে রাশিয়া আগেই ঘোষণা করেছে, তাদের মূল লক্ষ্য ইউক্রেনের পূর্ব অংশ অর্থাৎ ডনবাস প্রদেশ।
ইতিমধ্যে ডনবাস প্রদেশের বেশিরভাগ অঞ্চল রাশিয়ার নিয়ন্ত্রনে। বন্দর শহর মারিয়ুপোলের পতন আগেই হয়েছে। গোটা খেরসন প্রদেশও রাশিয়ার দখলে চলে গেছে। লুহানস্ক প্রদেশের ক্রেমিনা শহরও এখন রুশ নিয়ন্ত্রণে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন