টানা ৪ মাস যুদ্ধ চলছে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে। ইতিমধ্যে কয়েক হাজার সেনার মৃত্যু হলেও শান্তি আলোচনায় রাজি নয় দুই দেশের কেউই। সময়ের সাথে সাথে কিয়েভ-এর অবস্থা স্পষ্টতই দুর্বল হচ্ছে।
ইউক্রেনের লুহান্সক অঞ্চল আগেই দখল করেছিল রুশ ফৌজ। এবারে রুশ ফৌজের নিশানায় রয়েছে ডোনেৎস্ক অঞ্চল। ফলে ডনবাস-এর পতন অবশ্যম্ভাবী মনে করছেন যুদ্ধ বিশেষজ্ঞরা। লুহান্সক ও ডোনেৎস্ক এই দুটি অঞ্চলের সমন্বয়ে তৈরি ডনবাস। ২০১৪ থেকে পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে রুশপন্থী বিদ্রোহীরা।
গত শনিবার (২রা জুলাই) রাশিয়া সেনা ও বিদেশমন্ত্রী সের্গেই শোইগু-এর তরফে জানানো হয়েছে, লুহান্সক অঞ্চলে ইউক্রেনের আধিপত্য সম্পূর্ণ শেষ করে দেওয়া হয়েছে। পূর্ব ইউক্রেনের অন্যতম বড় শহর লিসিচানস্ক সম্পূর্ণ ভাবে রাশিয়ার আধীনস্ত হয়েছে। গত সপ্তাহেই সেভেরডোনেৎস্ক শহর দখল করেছিল রুশ বাহিনী।
লুহান্সক প্রদেশের গভর্নর সেরহিয়ে গাইদাই জানান, লুহান্সক অঞ্চল দখল করেছে রুশ ফৌজ। এবার তাদের নিশানায় রয়েছে ডোনেৎস্কের অবশিষ্ট অঞ্চল। ফলে ওই অঞ্চলের স্লোভিয়ানস্ক ও বাখমুট শহরে প্রবল গোলাবর্ষণের সম্ভবনা রয়েছে।
আবেগঘন হয়ে সেরহিয়ে গাইদাই বলেন, “লুহান্সকের পতন অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আমি সেখানেই জন্মেছি। ওই অঞ্চলের প্রধানের দায়িত্ব সামলেছি। এটা কষ্টের হলেও মনে রাখতে হবে আমরা কিন্তু যুদ্ধে হারিনি। শুধু লিসিচানস্ক শহর দখলে রাখার চাইতেও অধিক গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যুদ্ধ জয় করা। আমি মনে হয় না একবারেই সব সেনাকে ডোনেৎস্কে পাঠাবে রাশিয়া, কারণ দখল করা জায়গায় পাহারা দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। তবে তারা যদি সেনা সরায় আমাদের ফৌজও পাল্টা প্রত্যাঘাত করবে।”
উল্লেখ্য, ডনবাস অঞ্চলের অর্ধেক এলাকাই লুহান্সকের অন্তর্গত। যদি ডনবাস রাশিয়ার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে যায় তাহলে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন হয়তো ইউক্রেন যুদ্ধে বিজয় ঘোষণা করতে পারেন। ইউক্রেনীয় বাহিনী এই ঘটনার পর যথেষ্ট বেকায়দায় পড়েছে। কারণ সেনা, কামান, বিমানবাহিনীর শক্তির নিরিখে ইউক্রেনের অনেকটাই এগিয়ে চেয়ে রাশিয়া।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন