চলতি সপ্তাহেই ভারতে আসছেন রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। চীনের পর রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রীর পদার্পণ ঘটতে চলেছে ভারতে। আর এই সম্ভাবনা ঘিরে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি হতে চলেছে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
ইউক্রেন-রাশিয়ার সংঘর্ষের জেরে পশ্চিমী দেশগুলি মস্কোর উপর নানা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আমেরিকা-সহ পশ্চিমের বিভিন্ন দেশ রাশিয়ার উপর অর্থনীতি ও অন্য আরও নানা ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। দু'দেশের যুদ্ধ একমাস পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও থামেনি। রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতিবাদমূলক ভোটাভুটিতে কোনও পক্ষ অবলম্বন না করে ভারত ভোটদানে বিরত থেকেছে। চীনও একই পথ অবলম্বন করেছিল। পাশাপাশি রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব সুদৃঢ় বলে সোচ্চার দাবিও জানিয়েছিল বেজিং।
যদিও নয়া দিল্লি সেবিষয়ে কোনও মতপ্রকাশ করেনি। আর এই আবহে লাভরভের দিল্লি সফর তাই তাৎপর্যবাহী বলেই মনে করা হচ্ছে। তাঁর এই দিল্লি সফর আমেরিকা ও পাশ্চাত্য দেশগুলি কোন চোখে দেখছে, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। এ সপ্তাহেই ভারতে এসেছেন চীনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। তারপরই আসতে পারেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী লাভরভ। ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘর্ষ চলাকালীন এইভাবে দুই বিদেশমন্ত্রীর ভারতে আসাটা খুব একটা ভালোভাবে নিচ্ছে না পশ্চিমী রাষ্ট্ররা।
যুদ্ধের এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইউক্রেনের মানবিক সঙ্কট নিয়ে রাশিয়ার যে প্রস্তাব, তার ভোটাভুটি থেকেও বিরত থাকে দিল্লি। ওই প্রস্তাব ইউক্রেনের প্রতি সমালোচনামূলক বলে মনে করা হয়েছিল। প্রস্তাবটি প্রয়োজনীয় ভোট পায়নি। ফলে তা খারিজ হয়ে যায়। নয়া দিল্লি একটি নিরপেক্ষ অবস্থান বজায়ের চেষ্টা করছে বলেও মনে করা হচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত সপ্তাহে বলেছিলেন, কোয়াড দেশগুলির মধ্যে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের বিরোধিতার ক্ষেত্রে ভারত 'কিছুটা নড়বড়ে' ছিল। কোয়াডের বাকি সদস্য অস্ট্রেলিয়া ও জাপান রাশিয়ার সমালোচনা করেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন