কয়েকদিন আগেই ইউক্রেনের দুটি রুশপন্থী অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুগানস্ককে রাশিয়া স্বাধীন বলে ঘোষণা করেছে। তারপর আমেরিকা ও তার মিত্ররা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন রাশিয়ার তিনটি আর্থিক সংস্থা, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে লেনাদেনা করা যাবে না বলে এই মর্মে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
ইতিমধ্যে ইউক্রেনের দুই রুশপন্থী অঞ্চলে রাশিয়ান বাহিনী প্রবেশ করেছে এবং রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সামরিক অভিযানের কথা ঘোষণা করেছেন। জার্মান, ব্রিটেন শুধুমাত্র অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার পরিস্থিতি জারি করা পর্যন্ত আবদ্ধ থেকেছে। তবে প্রয়োজনে এই নিষেধাজ্ঞা পরিধি আরও বাড়তে পারে বলে তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
বুধবার আমেরিকায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, ওয়াশিংটন কি মনে করছে যে দুটি নিষেধাজ্ঞা জারি করলে রাশিয়ার বিদেশনীতি বদলে যাবে? এদিকে, রাশিয়ার প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল ‘কমিউনিস্ট পার্টি অফ রাশিয়ান ফেডারেশন’ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে – ইউক্রেন ধীরে ধীরে ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রে পরিনত হচ্ছে। আর এতে মদত দিচ্ছে আমেরিকা ও ব্রিটেন। তারা ইউক্রেনকে তাদের তাবেদার বানাতে চায়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আমেরিকা চায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে, যাতে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হয়। এরফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নও প্রচুর ক্ষতি হবে। চীনের সঙ্গে প্রতিযগিতায় দুর্বল হতে থাকা আমেরিকা এখন তার ন্যাটো সহযোগীদেরকেও দুর্বল করে নিজেকে বাঁচতে চাইছে।
দোনেৎস্ক ও লুগানস্ককে স্বাধীনতার সিদ্ধান্তকে সরাসরি সমর্থন করে রাশিয়ান কমিউনিস্ট পার্টি জানিয়েছে – ইউক্রেনের শাসকরা পসচিমাদের তাঁবেদারি শুরু করেছে। ওদের সাথে আলোচনা করে লাভ নেই। এমন সিদ্ধান্ত নিতে হবে যাতে তারা শান্তিরক্ষায় বাধ্য হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন