দু'টো বিকল্প রয়েছে হাতে। এক শান্তিচুক্তিতে সই করতে হবে অথবা ইউক্রেনকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। মাত্র সপ্তাহের মধ্যে এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কিকে। জাপানের একটি সংবাদ মাধ্যমে এমনটাই জানিয়েছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট অ্যালেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। যুদ্ধের ভবিষ্যৎ গতিপ্রকৃতি নিয়ে নিজের মত ব্যক্ত করলেন তিনি।
সম্প্রতি একটি জাপানি টেলিভিশন চ্যানেল ‘টিবিএস’-কে ইউক্রেনের উত্তর-পশ্চিম দিকের প্রতিবেশী তথা মস্কোর ঘনিষ্ঠ মিত্র বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো বলেন, ‘ইউক্রেনকে প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। খুব ভাল জানি, প্রস্তাবটি সব দিক থেকেই গ্রহণযোগ্য। রাশিয়া ও ইউক্রেন একটি সমঝোতায় পৌঁছে যাক। আর এটা সম্ভবও। জেলেনস্কিকে শুধু এই প্রস্তাবে সই করতে হবে। কিন্তু জেলেনস্কি সই করতে অসম্মত হলে তাঁকে ক’দিনের মধ্যেই আত্মসমর্পণের নথিতে সই করতে হবে। কারণ রাশিয়া যে হারছে না, তা নিশ্চিত।’
মস্কোয় সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানান, তিনি ইউক্রেনকে রাশিয়া বলেই মনে করেন। ইউক্রেনকে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে হলে তা রাশিয়ার সঙ্গে করতে হবে অংশীদারিত্বের প্রেক্ষিতেই। আর কোনও উপায় নেই।
গত মাসের ২৪ তারিখে ইউক্রেনে "বিশেষ সামরিক অভিযান" শুরু করে রাশিয়া। তারপর থেকে দু'দেশের মধ্যে শুধুই আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণের পর্ব চলছে। ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে প্রচুর। ইউক্রেনের বহু শহর ধুলিস্যাৎ হয়ে গিয়েছে। প্রায় ২৩ দিন পর যুদ্ধ শেষের কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। দক্ষিণ ইউক্রেনের গোটা খেরসন প্রদেশ আপাতত রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। অবশ্য ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন - ইউক্রেন আর ন্যাটোর সদস্য হতে চায় না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন