ইউক্রেন সীমান্তে বেলারুশের সেনাবাহিনী পাঠানোকে কেন্দ্র করে ঘনীভূত হচ্ছে নতুন করে যুদ্ধের আশঙ্কা। মস্কো-কিয়েভ যুদ্ধের প্রথম থেকেই বেলারুশ কার্যত রাশিয়ার পক্ষেই ছিল। ন্যাটো দেশগুলি ও আমেরিকা ইউক্রেন সীমান্তে সেনা বাড়াতেই বেলারুশের এই পদক্ষেপ বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মহল।
বেশকিছুদিন ধরে বেলারুশ সীমান্তে ইউক্রেন সশস্ত্র সেনা মোতায়েন করে চলেছে। যা নজরে রাখছিল অ্যালেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো-র দেশ। সূত্রের খবর, ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় ২০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে জেলেনস্কি। এই নিয়েই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বেলারুশের। বেলারুশের সেনা প্রধান বলেছেন, আমেরিকা ইউক্রেনের বিভিন্ন প্রান্তে সেনা নিয়োগ করে চলেছে, তাদের এই আগ্রাসনকে রুখতেই এমন পদক্ষেপ। তবে বেলারুশ এখন কোনওভাবেই সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবে না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর একা আমেরিকাই ২৪০ কোটি ডলারের অস্ত্রশস্ত্র দিয়েছে কিয়েভকে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন দিয়েছে ১৬৩ কোটি ডলারের অস্ত্র। অন্য ৩০টি দেশ থেকেও ইউক্রেনে অস্ত্র ঢুকেছে। যুদ্ধ থামাতে বেলারুশের মাটিতে ইউক্রেন-রাশিয়া বৈঠক হলেও তার কোনো আশানুরূপ প্রতিফলন দেখা যায়নি। পরবর্তীকালে তুরস্কে দুই দেশ আলোচনায় বসলেও তা কার্যত ব্যর্থ হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন