যুদ্ধের ১৪ দিন পর সমঝোতার পথে হাঁটতে শুরু করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য পদ পেতে চেয়েছিল। আর তাদের এই উদ্যোগের বিরোধিতা করেছিল রাশিয়া। চাপ দিয়েছিল। এটাই ছিল ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলা চালানোর অন্যতম কারণ। এমনটাই মত আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের। এবার নিজেদের সেই প্রস্তাব থেকে সরে এল ইউক্রেন। তারা ন্যাটোর সদস্যপদ নিয়ে কোনওরকম জোর জবরদস্তি করছে না, জানিয়ে দিলেন প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি।
পাশাপাশি তিনি বলেছেন, দেশের দুই রুশপন্থী এলাকার পরিস্থিতি নিয়েও তিনি সমঝোতার পথে হাঁটতে প্রস্তুত। প্রসঙ্গত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধের আগে ইউক্রেনের দুটি রুশপন্থী এলাকা দোনেৎস্ক ও লুগানস্ক-কে স্বাধীন ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ২০১৪ থেকে ওই দুটি অঞ্চলের সঙ্গে ইউক্রেনের সংঘাত চলছে।
সোমবার রাতে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গিয়েছে। বুঝতে পেরেছি যে, ন্যাটো ইউক্রেনকে সদস্য হিসেবে গ্রহণ করতে রাজি নয়। এই সামরিক জোট বিতর্কিত বিষয়াবলী ও রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ নিয়ে আতঙ্কিত।
ন্যাটোর সদস্যপদ লাভের দাবি থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, কোনও কিছু মাথা নত করে মেনে নিতে পারবো না। এমন কোনও দেশের প্রধান হতে রাজি না, যে দেশ নতজানু হয়ে কোনও কিছুর জন্য ভিক্ষাবৃত্তি করবে।
রাশিয়ার বক্তব্য, তাদের দেশ সংলগ্ন ইউক্রেনের ন্যাটোয় শামিল হওয়ার প্রয়োজন নেই। ইউক্রেনকে ন্যাটোর অন্তর্ভুক্তিকরণ ঘটিয়ে ন্যাটোর বিস্তার ঘটানোর পক্ষপাতী নয় মস্কো। ন্যাটোর বিস্তৃতিকে রাশিয়া বিপদ হিসেবে গণ্য করছে। পশ্চিমী জোটগুলি তাদের ঘাড়ের কাছে নিশ্বাস ফেলবে, পছন্দ নয় রাশিয়ার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন