আফ্রিকার তিন দেশ – ইথিওপিয়া, কেনিয়া এবং সোমালিয়ায় কমপক্ষে ১ কোটি ৮৪ লক্ষ মানুষ ইতিমধ্যেই উচ্চ মাত্রার খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা এবং ক্রমবর্ধমান অপুষ্টির সম্মুখীন হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় (UNOCHA)-এর পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে।
UNOCHA, শুক্রবার রাতে জারি করা পরিস্থিতির সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানিয়েছে, আফ্রিকার এই তিনটি দেশে উচ্চ মাত্রার তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা এবং ক্রমবর্ধমান অপুষ্টির সম্মুখীন মানুষের সংখ্যা ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ ২ কোটিতে পৌঁছে যেতে পারে। এই তথ্য জানিয়েছে জিংহুয়া সংবাদ সংস্থা।
UNOCHA-র তথ্য অনুসারে, সোমালিয়ায়, প্রায় ৭১ লক্ষ মানুষ এখন তীব্রভাবে খাদ্য সংকটের মধ্যে আছে। যার মধ্যে চরম বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মধ্যে আছেন ২ লক্ষ ১৩ হাজার জন। দেশের আটটি অঞ্চলে এখন থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে দুর্ভিক্ষের কবলে চলে যেতে পারে। যা চরম উদ্বেগের কারণ হতে চলেছে।
এই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, খরার কারণে ইথিওপিয়ায় প্রায় ৭২ লক্ষ মানুষ এবং কেনিয়ার প্রায় ৪১ লক্ষ মানুষ মারাত্মকভাবে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। পশুপালক পরিবারগুলি ভরণপোষণ এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য পশুর ওপর নির্ভর করে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে কমপক্ষে ৭০ লক্ষ গবাদি পশু আফ্রিকার এই তিন দেশ জুড়ে মারা গেছে। যার মধ্যে ১৫ লক্ষর বেশি পশু মারা গেছে কেনিয়াতে, ২১ লক্ষ থেকে ২৫ লক্ষ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব ইথিওপিয়ায় এবং ৩০ লক্ষ সোমালিয়ায়।
গবাদি পশুর এই ব্যাপকহারে মৃত্যুর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে শিশুদের জন্য দুধের অভাব দেখা দিয়েছে, যা তাদের অপুষ্টিকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।
ইথিওপিয়া, সোমালিয়ায় খরা নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনা এবং কেনিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সাহায্যর জন্য আগামী মাসগুলিতে জরুরিভাবে ১.৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি প্রয়োজন৷
যদিও UNOCHA সতর্ক করে জানিয়েছে, "এই পরিকল্পনাগুলির অধীনে প্রয়োজনীয় তহবিলের খুব কম অংশই পাওয়া গেছে। যার ফলে দ্রুত গভীরতর সমস্যায় পরিণত হতে চলা খরা নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।"
- with inputs from IANS
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন