ইজরায়েল-প্যালেস্তাইনের মধ্যেকার যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে এবার বৈঠকে বসতে চলেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ। কীভাবে দু'দেশের এই হিংসা বন্ধ করা যায় তা আলোচনা করতেই এই বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে। পূর্ব জেরুজালেমের মতো ঐতিহাসিক শহরের উপর ইজরায়েলের এই হিংসা বৃদ্ধি থেকে বিরত থাকার বার্তা দিতে সোমবার জরুরি বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছিল রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের তরফে।
জেরুজালেমের উপর হামলা থেকে বিরত থাকতে ও শহরের ঐতিহ্যর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার বার্তাও দেওয়া হয়েছিল। পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জারাহ ও সিলওয়ানের বাসিন্দাদের এলাকা থেকে উচ্ছেদের বিষয়ে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করে খসড়া বিবৃতিও প্রকাশ করেছে নিরাপত্তা পরিষদ। কারণ, পুরুষের পর পুরুষ ধরে এই এলাকাগুলোতে বসবাস করে আসছিলেন বাসিন্দারা। তাদের এলাকা ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে।
পুরো রমজান মাস ধরে জেরুজালেমের পুরনো শহরে বিশেষত রাতের বেলা রকেট হামলা হয়ে চলেছে। এরই মধ্যে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘এখনই শেষ নয়। অপারেশন চলবে। এর শেষ দেখে ছাড়ব।’ একইসঙ্গে চলতে থাকা অশান্তির জন্য প্যালেস্তাইনের হামাসকে দুষলেন তিনি। রবিবারই দুই দেশের সংঘর্ষ সপ্তম দিনে পা দিল। প্রতিদিনই চলছে রকেট হানা। রক্তপাতের দৃশ্যে শিউরে উঠছে গোটা বিশ্ব। সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টাও চালাচ্ছেন বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্রনায়করা। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করতে রাজি নয় দু’পক্ষই।
এদিন ইজরায়েলের এয়ার স্ট্রাইকে গুড়িয়ে গিয়েছে গাজার হামাস প্রধানের আস্তানা। অন্তত চারজন প্যালেস্তাইন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। জখম বহু। সে দেশের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গাজার উপকূলবর্তী এলাকা। তারপরই আর্ত চিৎকার আর রক্তে ছেয়ে যায় গোটা এলাকা। তেল আভিভকে লক্ষ্য করে পালটা রকেট হানা চালায় হামাস গোষ্ঠীও।
শনিবারই ইজরায়েলি বিমান হানায় গাজা শহরের এক বহুতল বিল্ডিং গুঁড়িয়ে যায়। এই বিল্ডিংয়ে সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি) এবং আল জাজিরার মতো আরও কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের অফিস ছিল। এই বিল্ডিংয়ে বিমান হানা কেন চালানো হল, তার কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি ইজরায়েলি সেনার তরফে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন