পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সবসময় তাদের নিজেদের উদ্দেশ্যের জন্য পাকিস্তানকে ব্যবহার করেছে। তিনি বলেন, “যখনই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আমাদের প্রয়োজন ছিল, তারা সম্পর্ক স্থাপন করেছে। পাকিস্তান একটি ফ্রন্টলাইন রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। আবার যখন তাদের উদ্দেশ্যপূরণ হয়ে গেছে, তখন আমাদের পরিত্যাগ করেছে, আমাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।”
ফুদান ইউনিভার্সিটির চায়না ইনস্টিটিউটের উপদেষ্টা কমিটির পরিচালক এরিক লির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন। পাকিস্তান-মার্কিন সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, একটা সময় ছিল যখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল এবং যখন প্রয়োজন ফুরিয়েছে, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজে থেকে দূরে সরে গেছে। এরপরে অবশ্য তিনি বলে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পাকিস্তানের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক পুনঃস্থাপিত হয়েছে।
“মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সাহায্য করেছিল, কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তান ত্যাগ করার সাথে সাথেই আমেরিকা পাকিস্তানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।” তারপর তিনি বলেন, নয় বছর পর ৯/১১ হলে যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সম্পর্ক আবার ভালো হয়। আবার আফগানিস্তানে আমেরিকা ব্যর্থ হলে পরাজয়ের জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করা হল। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান-চীন সম্পর্ক ৭০ বছর ধরে অব্যাহত রয়েছে। পাকিস্তান প্রতিটি ফোরামে চীনের সাথে রয়েছে এবং চীন প্রতিটি প্রয়োজনে পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে।
সাক্ষাত্কারের সময়, তিনি চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) এবং গদার বন্দর সম্পর্কে পশ্চিমা দেশগুলির সন্দেহকে সরাসরি খারিজ করে দিয়ে বলেন, প্রকল্পগুলি আঞ্চলিক উন্নয়নের জন্য একটি দুর্দান্ত সুযোগ। তাঁর কথায় – “আমি বুঝতে পারছি না কেন CPEC এবং গদার বন্দর নিয়ে এত বিতর্ক! এটার কোন মানে হয় না। আমার এক নম্বর অগ্রাধিকার হল দেশের ২২০ মিলিয়ন মানুষ।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন