জি-২০ রাষ্ট্রগোষ্ঠী থেকে রাশিয়াকে বহিষ্কার করা হবে। এরকম একটা ভাবনাচিন্তা চলছে। কিন্তু সেই উদ্যোগের সরাসরি বিরোধিতা করল চীন। রাশিয়াকে কোনওভাবেই জি-২০ থেকে বহিষ্কার করা যাবে না। সেটা করার কোনও অধিকার নেই বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিল বেজিং।
ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘর্ষ ইস্যুতে রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের পাশেই বরাবর থেকেছে শি জিনপিং। রাশিয়ার সঙ্গে চিনের সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ়। তা বারবার প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছে বেজিং। এবারও জি-টোয়েন্টি থেকে রাশিয়াকে বহিষ্কারের ইস্যুতে পুতিনের পাশে দাঁড়ালেন জিনপিং।
আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছিলেন, ‘রাশিয়াকে আর জি-২০ গোষ্ঠীতে রাখা উচিত কি না, আমেরিকা ও তার বন্ধু দেশগুলি তা নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু করে দিয়েছে।’ এর পরেই মস্কোকে সমর্থন জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছে বেজিং।
বুধবার চিনা বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন কূটনৈতিক স্তরে বলেন, ‘জি-২০ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার প্রধান মঞ্চ। রাশিয়া সেই গোষ্ঠীর একটি গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরাষ্ট্র। কোনও সদস্যের অন্য সদস্যকে বহিষ্কারের অধিকারই নেই।’
যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই রাশিয়ার উপর একের পর এক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আমেরিকা ও তার পশ্চিমের বন্ধু দেশেগুলি। বহু কোম্পানি রাশিয়ায় তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। রাশিয়ার অর্থনীতিকে আরও বড় ধাক্কা দেওয়াই লক্ষ্যে। তাই এবার জি-২০ থেকে রাশিয়াকে বহিষ্কার করার উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়েছে।
এদিকে ন্যাটো রাশিয়াকে ভয় পায় বলে তোপ দেগেছেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভোলোদিমির জেলেনস্কি। সোমবার ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যম দ্য সাসপিলনেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, 'ন্যাটোর পরিষ্কার করে বলা উচিৎ তারা আমাদের গ্রহণ করছে কি না। আমার মনে হচ্ছে ন্যাটো রাশিয়াকে ভয় পাচ্ছে। এটা সত্যি। ন্যাটোর সদস্য দেশগুলি আমাদের সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত না করেই সাহায্যে কথা বলছে। আত্মত্যাগের মাধ্যমেই এই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটতে পারে।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন