মার্কিন শ্রম দফতরের এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে সেপ্টেম্বরে প্রত্যাশিত ১৯৪,০০০ এরও কম চাকরি হয়েছে। কারণ ডেল্টা ভেরিয়েন্টের দরুন কোভিড-১৯ এর বাড়বাড়ন্তের ফলে কাজের বাজার ঝিমিয়ে পড়েছে।
জিনহুয়া নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, শুক্রবার প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী অগাস্টে সংশোধিত হিসাবে ৩৬৬,০০০চাকরি বেড়েছে। জুলাই মাসে চাকরি হয়েছিল ১০ লাখেরও বেশি। প্রতিবেদনে অনুসারে, চলতি বছরে এ পর্যন্ত, মাসিক চাকরির বৃদ্ধি গড়ে ৫৬১,০০০।
সেপ্টেম্বরে বেশিরভাগ চাকরি হয়েছে মনোরঞ্জন ও সেবা কেন্দ্র, পেশাদারি ও ব্যবসায়িক পরিষেবা, খুচরা বাণিজ্য এবং পরিবহন এবং গুদামের কাজে। জনশিক্ষায় কর্মসংস্থান এক মাসে হ্রাস পেয়েছে।
সেপ্টেম্বরে মনোরঞ্জন ও সেবা ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান ৭৪,০০০ বৃদ্ধি পেয়েছে। শিল্প, বিনোদন এবং প্রমোদ ক্ষেত্রে চাকরির বৃদ্ধি অব্যাহত। টানা দুমাস খাদ্য পরিষেবা এবং পানশালায় কর্মসংস্থানে সামান্য পরিবর্তন হয়েছে।
এদিকে, দু মাস সামান্য পরিবর্তনের পর সেপ্টেম্বরে খুচরা বাণিজ্যে কর্মসংস্থান ৫৬,০০০ বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই মাসে স্থানীয় সরকারি শিক্ষায় ১৪৪,০০০ এবং জাতীয় সরকারি শিক্ষায় ১৭,০০০ কর্মসংস্থান কমেছে। বেসরকারি শিক্ষায় কর্মসংস্থান কমেছে ১৯,০০০।
শ্রম বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সেপ্টেম্বরে স্বাস্থ্যপরিষেবাতে কর্মসংস্থান ১৮,০০০হ্রাস পেয়েছে। নার্সিং এবং আবাসিক সেবা সুবিধা এবং হাসপাতালে চাকরি হারানোর ঘটনা ঘটেছে।
আগের মাসে ০.২ শতাংশ পয়েন্ট কমে যাওয়ার পর সেপ্টেম্বরে বেকারত্বের হার ০.৪ শতাংশ পয়েন্ট কমে ৪.৮শতাংশে নেমে এসেছে।
এই পরিমাপ ২০২০র এপ্রিলের সাম্প্রতিক উচ্চতা থেকে যথেষ্ট কম হলেও অতিমারি-পূর্ব স্তরের ৩.৫ শতাংশের অনেকটাই উপরে।
অন্যদিকে, বেকার ব্যক্তির সংখ্যা ৭১০,০০০ কমে দাঁড়িয়েছে ৭.৭মিলিয়ন। যা অতিমারি-পূর্বের ৫.৭ মিলিয়নের অনেকটাই উপরে।
বেকারদের মধ্যে, যারা স্থায়ীভাবে চাকরি হারিয়েছে তাদের সংখ্যা সেপ্টেম্বরে ২৩৬০০০ কমে দাঁড়িয়েছে ২.৩ মিলিয়ন। কিন্তু ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির তুলনায় ৯৫৩,০০০ বেশি।
সেপ্টেম্বরে অস্থায়ী ছাঁটাই হওয়া ব্যক্তিদের সংখ্যা ১.১মিলিয়ন। খুব সামান্যই পরিবর্তিত হয়েছে ওই মাসে এবং প্রাক-অতিমারি স্তরের থেকে যা ৩৭৪,০০০ বেশি।
রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে সেপ্টেম্বরে শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের হার ৬১.৬ শতাংশে নেমে এসেছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই হার ২০২০ সালের জুন থেকে ৬১.৪শতাংশ থেকে ৬১.৭শতাংশের মধ্যেই ঘোরাফেরা করছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন