শনিবার শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। সরকারের দমনপীড়ন নীতির জন্য শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। সোমবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তারপরেও গোটা দেশ জুড়ে জারি হিংসা পরিস্থিতি। জানা গেছে, এই হিংসার জেরে এখনও পর্যন্ত হাসিনার দল আওয়ামী লিগের ২০ জন্য নেতা নিহত হয়েছেন।
সোমবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বাংলাদেশের অন্তত ৯ জন মন্ত্রী এবং অন্তত ২৭ জন সাংসদের বাড়িতে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবারও দিনভর জারি ছিল হিংসা। সোমবার বিকেলে খুলনায় আওয়ামী লীগের উপজেলা সভাপতি জি এম মোহসিন রেজাকে তাঁর বাড়িতে ঢুকে পিটিয়ে মারে বিক্ষুব্ধ জনতা। তাঁকে পিটিয়ে মেরে তাঁর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আগুনে পুড়েও যায় তাঁর দেহ। যশোরের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিন চাকলাদারের হোটেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ওই হোটেলে আগুনে পুড়ে বিদেশি-সহ ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
পাশাপাশি, ভাঙচুর করা হয়েছে হিন্দু মন্দির, হিন্দুদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোতেও। অন্যদিকে, ছাত্র আন্দোলনের নেতারা দেশের হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা না করার আবেদন জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মতে, সোমবার থেকে সংখ্যালঘুদের প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ টি বাড়ি এবং ১৫ থেকে ২০ টি মন্দিরে হামলা হয়েছে। এছাড়াও প্রায় ৪০ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, সমস্ত ভারতীয় কূটনীতিকরা ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের অফিসে রয়েছেন বলে জানা গেছে। অপ্রয়োজনীয় স্টাফ এবং তাদের পরিবারকে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা এবং সিলেটের কনস্যুলেট থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ভারতে লোকদের অবৈধ অনুপ্রবেশ আটকাতে সীমান্তে কড়া নিরাপত্তা রয়েছে।
বুধবার সকালে বাংলাদেশ থেকে ছ'জন শিশু-সহ ২০৫ জনকে দিল্লিতে নিয়ে আসা হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া একটি চার্টার্ড বিমানে। জানা গেছে, বাংলাদেশে ১৯ হাজার ভারতীয় আটকে রয়েছে। যার মধ্যে ৯ হাজার শিক্ষার্থী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন