ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার সংঘর্ষ প্রায় দু'মাস হতে চলল। কিন্তু যুদ্ধ কমার বদলে মাত্রা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইউক্রেনকে শক্তিশালী অস্ত্র জোগান দিচ্ছে আমেরিকার ও তার পশ্চিমী মিত্র দেশগুলি। কিন্তু তাতেও একেবারেই দমে যায়নি রাশিয়া। পাল্লা দিয়ে ঝাঁঝ বেড়েছে পুতিনের দেশেরও।
এই দুইয়েরই যোগফল— দিনে দিনে যুদ্ধ আরও ধ্বংসাত্মক রূপ নিচ্ছে। একের পর এক সেনা শহিদ হচ্ছেন। শহর ধ্বংস হচ্ছে। অর্থনীতি ধসে যাচ্ছে। নিরীহ সাধারণ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। প্রবাদ বাক্য, 'রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, উলুখাগড়ার প্রাণ যায়'-ই যেন বিশ্বের কাছে আরও একবার প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এসবের মাঝেই ফায়দা লুটছেন অস্ত্র ব্যবসায়ীরা। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের সর্বনাশের মাঝে নিজেদের আখের গুছিয়ে নিতে তৎপর হয়েছেন তাঁরা।
শুধু তো দুই দেশ নয়, যুদ্ধের প্রভাবে ভুগতে হচ্ছে গোটা বিশ্ববাসীকে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি। আমজনতার পকেটে টান। হেঁসেল আগুন। ইতিহাস সাক্ষী রেখে গরিব আরও গরিব, মধ্যবিত্তও প্রান্তিক হওয়ার পথে। কিন্তু ফুলেফেঁপে উঠছেন দুনিয়ার তাবড় অস্ত্র ব্যবসায়ীরা। আমেরিকা-সহ বিশ্বের উন্নত দেশগুলিতে অস্ত্র তৈরির দায়িত্ব পুরোপুরি বেসরকারি হাতে। তাই তারা যখন অন্য দেশকে অস্ত্র সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেয়, তখন লাভ হয় ওই সংস্থাগুলিরই।
২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু করার পর একা আমেরিকাই ২৪০ কোটি ডলারের অস্ত্রশস্ত্র দিয়েছে কিয়েভকে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন দিয়েছে ১৬৩ কোটি ডলারের অস্ত্র। অন্য ৩০টি দেশ থেকে ইউক্রেনে অস্ত্র ঢুকছে।
প্রসঙ্গত, রাশিয়ার পাশাপাশি আমেরিকা সহ ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। খোদ মার্কিন মুলুকের একাংশ অধিবাসীর মতে ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘর্ষে সঠিক ভূমিকা পালন করছে না আমেরিকা। কূটনৈতিকভাবে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা না করে ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে, এতে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন