ভারতের করোনা সংক্রমণ জনিত পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। একাধিক রাজ্যে সংক্রমণ, মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তির সমস্যা যেভাবে বাড়ছে তা যথেষ্ট চিন্তার। শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) প্রধান টেড্রস অ্যাডহানাম ঘেব্রেইয়েসাস এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে জানিয়েছেন – সারা পৃথিবীর জন্য করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রথম বারের থেকেও বেশি ভয়ঙ্কর।
গতকাল সাংবাদিকদের টেড্রস জানান – এই পরিস্থিতিতে যারা ভারতের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে তাদের সকলকে ধন্যবাদ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই বিষয়ে যথেষ্ট উদ্যোগ নিয়েছে এবং ভারতে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর, মাস্ক, অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে।
গতকাল তিনি আরও জানান – নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইজিপ্ট প্রভৃতি দেশে করোনা সংক্রমণ খুবই বাড়ছে এবং বেশি সংখ্যক মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে। আমেরিকারও কিছু অংশে এখনও করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এছাড়া আফ্রিকার কিছু দেশেও করোনা পরিস্থিতি যথেষ্ট খারাপ। এই সব দেশেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সাহায্য করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পর্যালোচনা করে দেখেছে করোনার প্রথম বছরের থেকে দ্বিতীয় বছরে তা আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে ফিরে এসেছে।
শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দপ্তর প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩,২৬,০৯৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩,৮৯০ জনের। দেশে মোট অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৩৬,৭৩,৮০২ এবং এখনও পর্যন্ত ভারতে করোনা সংক্রমণ কাটিয়ে উঠে সুস্থ হয়েছেন ২,০৪,৩২,৮৯৮ জন। যার মধ্যে শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩,৫৩,২৯৯ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে সবথেকে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে কর্ণাটকে। সেখানে সংক্রমিত হয়েছেন ৪১,৭৭৯ জন। এরপরেই স্থান মহারাষ্ট্রের। সেখানে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৯,৯২৩ জন। তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা কেরলে শেষ ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিতের সংখ্যা ৩৪,৬৯৪।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন