বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে চুপ কেন প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী! পরস্পরকে দোষারোপ তৃণমূল-বিজেপির

বাংলাদেশে ধর্মীয় হিংসা নিয়ে এত বড় ঘটনা ঘটে গেল অথচ প্রতিবেশী রাজ্য বাংলার শাসকদল তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বিজেপি।

বুধবার এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘রাজ্য সরকারের ভূমিকায় আমরা মোটেই সন্তুষ্ট নই।’ তিনি মনে করেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিবৃতি দেওয়া উচিৎ ছিল। দলও তাঁর এই মতামতকে সমর্থন করছে।

সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘এত বড় ঘটনা ঘটল, অথচ এখনও তৃণমূল বা মুখ্যমন্ত্রীর তরফে কোনও বিবৃতি আমরা পাইনি।’ যে ধরনের বিবৃতি দেওয়া উচিৎ ছিল, তা দেওয়া হয়নি বলে তিনি মনে করেন।

প্রসঙ্গত, একদিন আগেই বাংলাদেশের ঘটনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল। দলের মুখপত্র 'জাগো বাংলা'য় মোদির ‘নীরবতা’ নিয়ে তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, বিজেপি কুৎসিত রাজনীতি করছে।

আজ সেই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কী কথা বলেছেন, ভবিষ্যতে সবাই জানতে পারবেন। আমাদের দেশের একটি আইন সিএএ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলতে পারেন যে, তিনি রাষ্ট্রপুঞ্জে যাবেন। অথচ তাঁর পার্শ্ববর্তী দেশ যেখানে নাকি বাঙালিরাই থাকে, সেই জায়গায় এত বড় একটা ঘটনা ঘটল। অথচ মুখ্যমন্ত্রী তা নিয়ে কিছু বলছেন না। এটা খুব চিন্তার বিষয় বলে আমার মনে হয়।’

বাংলাদেশের তাণ্ডবের তীব্র নিন্দা করে ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক জানিয়েছেন, প্রয়োজন হলে শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে কথা ভারত আলোচনা করতে পারে। নিশীথ প্রামাণিক জানিয়েছেন, ভারত সরকার বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ সরকার এখনও বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত সরকারও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে।'

কোচবিহারের সাংসদ জানান, প্রয়োজনে আগামী দিনে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত আলোচনায় বসতে পারে।