নিউইয়র্ক থেকে ফ্লোরিডা ফিরেই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। বর্তমান রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনকে আক্রমণের পাশাপাশি তিনি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কাও প্রকাশ করলেন। যা পুরোটাই পারমাণবিক শক্তির ওপর নির্ভর করছে।
নিউইয়র্ক স্টেট সুপ্রিম কোর্টে হাজিরা দিয়ে ফ্লোরিডার মার-আ-লাগোয় ফিরেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর বিরুদ্ধে ৩৪টি ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়। তারই হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন। ফ্লোরিডায় ফিরে তিনি বলেন, বাইডেন প্রশাসনের অদূরদর্শিতার ফলে পারমাণবিক অস্ত্রের পরিমাণ এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যাতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতে পারে। সেদিন আর বেশি দূরে নেই, আপনি বিশ্বাস করুন বা না করুন।
পাশাপাশি ট্রাম্প বলেন, আমাদের মুদ্রার দাম পড়ছে। যা ২০০ বছরে সব থেকে বড় বিপর্যয় আমাদের জন্য। আপনারা যদি আমেরিকার ইতিহাসে পাঁচ জন সব থেকে খারাপ রাষ্ট্রপতির কার্যকালকে যোগ করেন তাহলেও জো বাইডেনের মতো এত ধ্বংসাত্মক কাজ তাঁরা করতে পারেননি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের অর্থনীতি বিপর্যস্ত। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। রাশিয়ার সাথে চীনের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে। আপনি এটা বিশ্বাস করবেন? সৌদি আরব ইরানের সাথে যোগ দিয়েছে। রাশিয়া, চীন, উত্তর কোরিয়া এবং ইরান মিলে ভয়ঙ্কর ও ধ্বংসাত্মক জোট গঠন করেছে। আমি যদি ক্ষমতায় থাকতাম তাহলে কিছুতেই এটা হতো না।
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও মুখ খোলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, আমি যদি রাষ্ট্রপতি থাকতাম তাহলে এই ঘটনা ঘটতো না। রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারতো না। সমস্ত জীবন বেঁচে যেত। শহরগুলিও ধ্বংস হতো না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মঙ্গলবার নিউইয়র্কের ম্যানহটানের আদালতে আত্মসমর্পণ করার কথা ছিল ট্রাম্পের। কিন্তু আদালতে পৌঁছানোর পর আত্মসমর্পণের আগেই গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। গ্রেফতারের পর ট্রাম্পকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয় এবং কিছুক্ষণের মধ্যে বিচারকের সামনে হাজিরও করানো হয়েছিল।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৩৪টি গুরুতর ফৌজদারির অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে পর্ন স্টার স্টর্মি ড্যানিয়েলস এবং প্লেবয় মডেল কারেন ম্যাকডুগালকে বিপুল অর্থ প্রদান করার অভিযোগ উঠেছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। এই দু’জনের সাথেই সম্পর্ক ছিল ট্রাম্পের।
অভিযোগ, মুখ বন্ধ রাখার শর্তে টাকা দেওয়া হয়েছিল এঁদের। এই দুজনেই তাঁদের সাথে ট্রাম্পের সম্পর্ক থাকার কথা এবং টাকা দেওয়ার কথা সম্প্রতি স্বীকার করেছেন। এছাড়াও ট্রাম্প টাওয়ারের এক দারোয়ানকেও টাকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। যিনি ট্রাম্পের এক অবৈধ সন্তানের কথা জানতেন। যদিও মঙ্গলবার নিউইয়র্ক স্টেট সুপ্রিম কোর্টে হাজির হয়ে এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন ট্রাম্প। তারপরেই এই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন