শীঘ্রই ইউক্রেন ও চীন দুই দেশের রাষ্ট্রনায়কের সাক্ষাৎ হতে পারে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম 'নিউ ইয়র্ক পোস্ট'-র মাধ্যমে তেমনটাই জানা যাচ্ছে। শি জিনপিং-র সাথে ভলদিমির জেলনস্কির সাক্ষাৎ নিয়ে ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা। আমেরিকা ভালোভাবে নিচ্ছে না এই সাক্ষাৎ।
শুক্রবারই রাষ্ট্রসংঘে ইউক্রেনের পক্ষে শান্তি প্রস্তাব পাশ হয়েছে। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১৪১টি দেশ। বিপক্ষে ভোট দেয় ৭টি এবং ভারত-চীন সহ মোট ৩২টি দেশ ভোট দানে বিরত থাকে। তবে চীন যুদ্ধবিরতির পক্ষে সওয়াল করে। তারপরেই জেলেনস্কির এমন সিদ্ধান্ত।
সূত্রের খবর, জেলেনস্কি চাইছেন চীন যেন না রাশিয়াকে সামরিক সাহায্য করে। সেই বিষয়ে আলোচনা করার জন্যই জিনপিং-র সাথে সাক্ষাতের কথা বলেছেন। কোথায় কবে সেই সাক্ষাৎ হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। শুধু চীনই নয় চীনের উদাহরণ দিয়ে ভারতকেও পাশে চাইছে ইউক্রেন।
কূটনীতিবিদদের মতে, এই মুহূর্তে রাশিয়ার সব থেকে ভরসার জায়গা হচ্ছে ভারত ও চীন। ফলে স্বাভাবিকভাবে এশিয়ার দুই শক্তিধর দেশ ইউক্রেনের পক্ষে সম্মতি জ্ঞাপন করে তাহলে পুতিন বিশ্ব রাজনীতিতে অনেকটাই পিছিয়ে পড়বে। চীন যুদ্ধবিরতির কথা উল্লেখ করলেও ভারত রাশিয়া-ইউক্রেন কোনো পক্ষই নেয়নি। ভারত ভারসাম্যের নীতি বজায় রেখেছে।
শুক্রবার ইউক্রেন ও আমেরিকা ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করতে বললে ভারত জানায়, আলোচনার মাধ্যমে সমস্ত বিষয়টি দুই দেশের মিটিয়ে নেওয়া উচিত। রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কাম্বোজ এদিন বলেন, "মানুষের জীবনের মূল্য দিয়ে কোনো সমাধান কখনোই আসতে পারে না।"
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন দাবি করেছিলেন, রাশিয়াকে অত্যাধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করবে চীন। যদিও আমেরিকার দাবি উড়িয়ে দিয়েছিল বেজিং। যদিও জেলেনস্কির দাবি, তাঁর বিশ্বাস চীন পুতিনকে কোনো ড্রোন বা সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে সাহায্য করবে না।
সকলেরই জানা ইউক্রেন যুদ্ধের প্রথম থেকেই আমেরিকা সহ ন্যাটো দেশগুলি ইউক্রেনকে সব রকম ভাবে সাহায্য করেছিল। আমেরিকা কোটি কোটি ডলারের সামরিক সাহায্য করে এসেছে ইউক্রেনকে। অন্যদিকে চীন সরাসরি সমর্থন না করলেও রাশিয়ার সাথে সক্ষ্যতা বজায় রেখেছিল। এমতাবস্থায় জিনপিং-জেলেনস্কি সাক্ষাৎ রীতিমত অস্বস্তিতে ফেলেছে পশ্চিমাদের।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন