ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ আবহে রাশিয়া থেকে সমস্ত ব্যবসা গোটাতে আহ্বান করেছিল ইউক্রেন। ইউক্রেনের শিল্পপতিরা প্রকাশ্যে জানিয়েছে, রাশিয়াতে তাদের আর কোনও সম্পত্তি অবশিষ্ট নেই। পুরোটাই তারা গুটিয়ে নিয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি এক রিপোর্টে দেখা গেছে, সরকারিভাবে ইউক্রেনের শিল্পপতিরা রাশিয়ায় ব্যবসা না করলেও, ঘুরপথে কিন্তু ঠিক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল শুধু ইউক্রেনীয় শিল্পপতিরাই নয়, এই তালিকায় নাম আছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিরও। আরটি –র প্রতিবেদন অনুযায়ী ইউক্রেনের প্রধান ব্যবসায়ীরা রাশিয়ায় ব্যবসা করছেন ভিন্ন নামে। কিন্তু চলমান এই সংঘর্ষের মধ্যে ঘুর পথে ব্যবসা করার তালিকায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের নাম দেখে হতবাক অনেকেই।
রাশিয়ায় এলএলসি গ্রিন ফিল্মস এবং প্ল্যাটিনামফিল্ম কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এবং উপার্জনও করছে। ২০১২ সালে ইউক্রেনের বর্তমান রাষ্ট্রপতি এবং তার বন্ধুদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানিগুলি। গ্রীন ফিল্মস শুধুমাত্র ২০২০ সালের জন্য আর্থিক বিবরণী জমা দিয়েছে। এর আয়ের পরিমাণ ছিল ৫৫.৭ মিলিয়ন রুবেল। ২০২০ সালে প্ল্যাটিনামফিল্ম-র রাজস্ব শূন্য। উভয় কোম্পানি সাইপ্রাসের গ্রীন ফ্যামিলি লিমিটেডের অন্তর্গত। জেলেনস্কি তাঁর রাষ্ট্রপতির কর্মজীবন শুরুর কিছুদিন আগে এই কোম্পানির অংশদারিত্ব কিনেছিলেন।
২০১৯ সালে, জেলেনস্কি তার শেয়ার ছেড়ে দেন। কিন্তু, আরটির প্রতিবেদন অনুযায়ী - জানা যায় যে জেলেনস্কি তার নিকটতম সহযোগী সের্গেই এবং বরিস শেফিরভের পাশাপাশি তৈমুর মিন্ডিচের মাধ্যমে ফিল্ম প্রোডাকশন ব্যবসার উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছেন। ভার্জিনিয়া কোম্পানি অ্যাপেক্সের মালিক তৈমুর মিন্ডিচ জেলেনস্কির খুবই ঘনিষ্ঠ। জেলেনস্কির ছেড়ে দেওয়া শেয়ারের বেশিরভাগটাই তিনি পেয়েছেন। সাইপ্রাসের গ্রীন ফ্যামিলির ৫০% মালিকও তিনি। এই মুহূর্তে তিনি নিয়মিত রাশিয়া থেকে উপার্জন করছেন।
এবং জেলেনস্কির শাশুড়ি এবং স্ত্রী মস্কোতে রিয়েল এস্টেট ব্যাবসা থেকে নিয়মিত উপার্জন করে চলেছেন। তাঁরা মস্কোতে দুটি বিজনেস-ক্লাস অ্যাপার্টমেন্টের মালিক। একটি তুশিনো এলাকায়, অন্যটি ভার্শাভসকো হাইওয়েতে।
- with IANS inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন