১ লক্ষ করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট ভুয়ো? একাধিক দুর্নীতি প্রকাশ্যে, আবারও প্রশ্নের মুখে কুম্ভমেলা

অভিযোগ, কুম্ভমেলায় যে ১ লক্ষ মানুষ অংশ নেন, তাঁদের করোনা পরীক্ষাই হয়নি। বদলে করোনা পরীক্ষা হয়েছে বলে মনগড়া নাম, ফোন নম্বর দিয়ে নথিভুক্ত করে রেকর্ড রাখা হয়েছে।
১ লক্ষ করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট ভুয়ো? একাধিক দুর্নীতি প্রকাশ্যে, আবারও প্রশ্নের মুখে কুম্ভমেলা
ছবি- সংগৃহীত
Published on

ফের করোনা পরীক্ষা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এল। কুম্ভমেলায় অংশগ্রহণকারীদের কোনওরকম করোনা পরীক্ষাই করা হয়নি বলে অভিযোগ। যাঁদের করোনা পরীক্ষা হয়েছে, তাঁরা কেউ কুম্ভমেলায় যাননি।

কুম্ভমেলার ভিড় হবে এবং তা থেকে করোনা সংক্রমণ ছড়াবে, এমন একটা আশঙ্কা হয়েছিল অনেক আগে থেকেই। যদিও উত্তরাখন্ড সরকারের সাফাই ছিল, স্বাস্থ্যের সঙ্গেও ধর্মও সমান গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি উত্তরাখণ্ড সরকার কুম্ভ মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকের আরটিপিসিআর টেস্টের জন্য ১১টি সংস্থাকে দায়িত্ব দেয়। তার মধ্যে ‘ম্যাক্স কর্পোরেট সার্ভিসেস’ যে ১ লক্ষ আরটি-পিসিআর পরীক্ষার রিপোর্ট দিয়েছে, তা নিয়েই বিতর্ক ছড়িয়েছে।

রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবকে চিঠি লিখে এক ব্যক্তি জানান, কুম্ভমেলায় যোগই দেননি তিনি। অথচ হরিদ্বার থেকে তাঁর আরটি-পিসিআর পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছে। যে ১ লক্ষ ৪ হাজার ৭৯৬টি পরীক্ষার তালিকা জমা পড়েছিল উত্তরাখণ্ড সরকারের কাছে, তার মধ্যে ৩ হাজার ৯২৫টি একই ফোন নম্বর দিয়ে নথিভুক্ত রয়েছে বলে পাওয়া গিয়েছে। যদিও ‘ম্যাক্স কর্পোরেট সার্ভিসেস’ যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর বাতিলের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে।

অভিযোগ, কুম্ভমেলায় যে ১ লক্ষ মানুষ অংশ নেন, তাঁদের করোনা পরীক্ষাই হয়নি। বদলে করোনা পরীক্ষা হয়েছে বলে মনগড়া নাম, ফোন নম্বর দিয়ে নথিভুক্ত করে রেকর্ড রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। 'ম্যাক্স কর্পোরেট সার্ভিসেস’ এবং আরটি-পিসিআর পরীক্ষার জন্য নলওয়া ল্যাবস এবং ডক্টর লালচন্দানি ল্যাবসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। কুম্ভমেলা কর্তৃপক্ষও বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। শুধু তাই নয়, আরটি-পিসিআর পরীক্ষার লাইসেন্সও নলওয়া ল্যাবসের নেই। এ ব্যাপারে কুম্ভমেলায় স্বাস্থ্য পরিষেবার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অভিযোগ পেয়ে উত্তরাখণ্ড সরকার ৮ সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছে। সংস্থার রিপোর্টে যাঁদের ফোন নম্বরের উল্লেখ আছে, তাঁদের প্রত্যেকের নম্বরে ফোন করে যাচাই করে দেখা হচ্ছে। যাচাই করতে গিয়েই দেখা যাচ্ছে, নম্বর ধরে ফোন করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি জানাচ্ছেন যে, তিনি কুম্ভমেলায় যোগই দেননি। ওই বেসরকারি সংস্থা এবং দুই গবেষণা সংস্থার বিরুদ্ধে জালিয়াতি, প্রতারণা, ভুয়ো নথি দাখিল, ধারা ২৬৯ (বিপজ্জনক সংক্রমণ নিয়ে দায়িত্বজ্ঞাহীনতা), ১২০-বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র)-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in