রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা এলআইসি বিক্রি করতে শেয়ারবাজারে প্রাথমিক তালিকাভুক্ত করতে উদ্যোগী হল কেন্দ্র। এই শেয়ার বেচে তোলা হবে ১ লক্ষ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছিলেন, দেশের সম্পদ বেচে ১.৭৮ লক্ষ কোটি টাকা তোলা হবে। তারমধ্যে এলআইসি বেচে তোলা হবে ১ লক্ষ কোটি টাকা।
বিমা খাতে বিদেশি বিনিয়োগের সীমা ৭৪ শতাংশ করার পর জীবনবিমা নিগম ব্যবসার ক্ষেত্রে আইপিও তালিকাভুক্ত করার কাজ করে ফেলেছে। দেশের বিমা বাজার ৬৬ শতাংশ এলআইসির অধীনে। সরকারি পরিকাঠামো যেমন দেশের আয়ের উৎস, তেমনই এলআইসিও। দেশের বিমা বাজার আগে সবটাই এলআইসি-সহ ৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার হাতে ছিল। ২০০০ সালে বাজপেয়ী সরকার দেশি-বিদেশি সংস্থার জন্য বিমার বাজার উন্মুক্ত করে দেয়।
বলা হয়েছিল এতে বিনিয়োগ বাড়বে। কিন্তু দু'দশক পরও বিনিয়োগ বাড়েনি, পরিষেবা বাড়েনি। বেসরকারি বিমান সংস্থার বিনিয়োগ আসেনি। উল্টে অনেক বেসরকারি বিমা সংস্থার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় না পেরে উঠে গিয়েছে। এদিকে দেশে বিমা বেসরকারিকরণের অজুহাতে বিদেশি বিনিয়োগের সীমা দু'দফায় বাড়িয়েছে মোদি সরকার। তারপরে এলআইসির শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা তাতে অনুমোদন দিয়েছে। তার প্রক্রিয়া হিসেবে এলআইসি আইপিও তালিকাভুক্তির জন্য ইতিমধ্যেই মার্চেন্ট ব্যাংকের নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি আর্থিক বছরে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের তিন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ন্যাশনাল ফার্টিলাইজার, মিশ্র ধাতু নিগম এবং রাষ্ট্রীয় কেমিক্যাল ও ফার্টিলাইজার বেচে দেওয়ার পর এলআইসি শেয়ার বিক্রির প্রক্রিয়া পুরোদমে শুরু করে দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, আইপিও থেকে এলআইসি শেয়ার দখলে নিতে মোট ১৮টি সংস্থার নজর রয়েছে। পলিসি গ্রাহকদের জন্য দেশের ১০ শতাংশ শেয়ার সংরক্ষণ রাখা হচ্ছে। এলআইসি কর্মীদের জন্য ডিসকাউন্টে শেয়ার বিক্রির পরিকল্পনা রয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন