সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলো বিলকিস বানো গণধর্ষণকাণ্ডে ১১ জন দোষী। তাদের আত্মসমর্পণের দিন বৃদ্ধির আবেদন খারিজ করলো বিচারপতি বি ভি নাগারথনার বেঞ্চ। ফলে পূর্বের নির্দেশ অনুযায়ীই জেল ফেরত যেতে হবে দোষীদের।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি ভি নাগারথনার বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়। বিচারপতি বলেন আত্মসমর্পণের জন্য মামলাকারীরা দিন বৃদ্ধির আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু দিন বাড়ানোর উপযুক্ত কারণ দেখাতে পারেনি। কেউ দেখিয়েছে ছেলের বিয়ে, কেউ ফসল কাটার মরশুমে বাবা-মাকে সাহায্য করার কারণ দেখিয়েছে। কেউ আবার অসুস্থতার কারণে বিশ্রামের জন্য দিনবৃদ্ধির আর্জি জানিয়েছিল। কিন্তু আদালত সবক'টি আর্জিই খারিজ করছে।
পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের জন্য আরও সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল দোষীরা। গত ৮ জানুয়ারি বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় দোষীদের আগাম মুক্তির আদেশ খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। ১১ জন দোষীকেই ২ সপ্তাহের মধ্যে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
দোষী রমেশ রূপভাই নিজের আবেদনে জানিয়েছিল, তার ছেলের বিয়ে রয়েছে এবং অনেক দায়িত্ব পালন করতে হবে তাকে। আর এক দোষী মিতেশ চিমনলাল শীতকালীন ফসল কাটার জন্য সময় চেয়েছিল। বিপিন চন্দ্র জোশী পায়ে অস্ত্রোপচারের কারণে ৬ সপ্তাহের সময় চায়। প্রদীপ রমনলাল জানিয়েছিল, তার ফুসফুসের অপারেশন হয়েছে, তাই বিশ্রামের প্রয়োজন। গোবিন্দভাই নাইও নিজের শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে অতিরিক্ত সময় চেয়েছিল। রাধেশ্যাম ভগবান দাস এবং রাজুভাই বাবুলাল উভয়ই নিজ নিজ পরিবারের জন্য আর্থিক ব্যবস্থা করার জন্য সময় চেয়েছিল আদালতের কাছে।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ৩ মার্চ আহমেদাবাদের কাছে রন্ধিকপুর গ্রামে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন বিলকিস বানো। সেই সময় তাঁর বয়স ছিল ২১ এবং তিনি পাঁচ মাসের গর্ভবতী ছিলেন। গোধরায় সবরমতি ট্রেনে সহিংসতার ঘটনা থেকে প্রাণে বাঁচতে পালিয়ে যাওয়ার সময় এই ঘটনা ঘটে। তাঁর সন্তান সহ তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল। ২০২২ সালের ১৫ আগস্ট ‘রেমিশন পলিসি’ অনুসারে এই ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত এগারো জনকেই মুক্তি দেয় গুজরাট সরকার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন