সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের সবথেকে ‘ভ্যালুয়েবল’ কোম্পানিগুলির মধ্যে একটি হল বাইজু’স (Byju's)। সেই কোম্পানিই এখন প্রবল ‘চাপে’র মুখে। কারণ, আজই শেষ হচ্ছে ঋণদাতাদের কাছে ১.২ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৯৯১ কোটি টাকা) ঋণ পরিশোধের সময়সীমা।
কোম্পানির বিশ্বস্ত সূত্রে খবর, এখনই সব ঋণ পরিশোধ করতে পারছে না বাইজু’স। ঋণদাতাদেরকে তাঁদের বিনিয়োগের বিপরীতে ত্রৈমাসিক সুদ প্রদানের পরিকল্পনা করেছে বাইজু’স।
ঋণদাতাদের অভিযোগ, বারবার বলা সত্ত্বেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ২০২১-২২ আর্থিক বছরে কোম্পানির লাভ-ক্ষতির রিপোর্ট প্রকাশ করেনি বাইজুস। ফলে, লংঘিত হয়েছে ঋণদাতাদের সঙ্গে চুক্তির নিয়ম। আর, এই অভিযোগ তুলে গত ডিসেম্বর মাসে ঋণদাতা সংস্থারা জানিয়েছিল, আগামী ৫ জুনের মধ্যে, ১.২ বিলিয়ন ডলার ঋণের কিছুটা পরিশোধ করতেই হবে বাইজু’স-কে।
এই দাবির ভিত্তিতে Houlihan Lokey Inc. –কে পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়োগ করে বাইজু'স। কী ভাবে ঋণ পরিশোধের প্রক্রিয়াটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তা দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয় এই সংস্থার উপর। তবে, আজ ঋণ পরিশোধের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি এই সংস্থা।
সূত্রের খবর, সাম্প্রতিক সময়ে ১.২ বিলিয়ন ডলার ঋণ হল একটি স্টার্টআপ কোম্পানির সবচেয়ে বড় অরেটেড ঋণ। যা পরিশোধের ব্যাপারে ঋণদাতাদের সঙ্গে দর কষাকষি করেছেন Byju's কর্তা তথা প্রাক্তন শিক্ষক বাইজু রভেন্দ্রন।
গত সপ্তাহে এক রিপোর্টে ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, দ্রুত ঋণ পরিশোধের দাবিতে গত সপ্তাহেই চলমান আলোচনা থেকে সরে এসেছে ঋণদাতারা।
উল্লেখ্য, মহামারী করোনাকালে অনলাইন পড়াশোনার ধারা চালু হওয়ার পর থেকেই এই কোম্পানির (Byju's) উত্থান হয়েছিল অবিশ্বাস্য হারে। কিন্তু, দ্রুত লাভ খুইয়ে ফেলে এই কোম্পানি। যার অন্যতম কারণ হল হিসাবের বাইরে গিয়ে কোম্পানির অর্থ খরচ করা। আন্তর্জাতিক স্তরে নাম কিনতে বিপুল অর্থ ব্যয় করে আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসিকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করা হয়।
লাভ খুইয়ে ফেলায় ঋণদাতা সংস্থারাও তাদের শেয়ার বিক্রি করে দেয়। কোম্পানির আর্থিক ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়। কী ভাবে কোম্পানি বাজার থেকে তোলা টাকার পরিশোধ করবে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠে যায়।
সম্প্রতি কোম্পানির খরচ কমাতে ধাপে ধাপে কয়েক হাজার কর্মী ছাঁটাইও করেছে Byju's।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন