সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা যদি ক্ষমা চান তাহলে সরকার তাঁদের সাসপেনশন প্রত্যাহার করার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবে। মঙ্গলবার সকালে একথা জানালেন সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। প্রসঙ্গত, বাদল অধিবেশনে সংসদ কক্ষে গন্ডগোল-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে বিরোধী রাজনৈতিক দলের ১২ জন সাংসদকে গোটা শীতকালীন অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। গতকাল অধিবেশন শুরুর প্রথম দিনে এই সাসপেনশনের কথা গোপন করা হয়েছে।
প্রহ্লাদ যোশী ট্যুইটারে জানিয়েছেন, "কক্ষের মর্যাদা বজায় রাখার জন্য, সরকার বাধ্যতামূলকভাবে কক্ষের মধ্যে সাংসদের সাসপেন্ড করার প্রস্তাব রেখেছিল। কিন্তু যদি এই ১২ জন সাংসদ তাঁদের খারাপ ব্যবহারের জন্য স্পিকার এবং হাউসের সামনে ক্ষমা চেয়ে নেন তাহলে সরকারও উন্মুক্ত হৃদয়ে তাঁদের প্রস্তাব নিয়ে ইতিবাচক বিবেচনা করতে প্রস্তুত।"
যদিও এর আগে এই সাসপেনশন নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় মিঃ যোশী বলেছিলেন, গত ১১ আগস্ট, বাদল অধিবেশনের শেষ দিন বিরোধীরা হাউসের ভেতর কীভাবে আচরণ করেছিলেন, গোটা দেশ তা জানে। সমস্ত ক্লিপিংগুলো সোশ্যাল মিডিয়াতে রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার এটাই প্রথম সুযোগ ছিল এবং চেয়ারম্যান ব্যবস্থা নিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সাসপেন্ড হওয়া ১২ সাংসদের মধ্যে রয়েছেন - সিপিআইএম (CPIM)-এর এলামারাম করিম; কংগ্রেসের (INC) ফুলো দেবী নেতাম, ছায়া ভার্মা, আর বোরা, রাজামণি প্যাটেল, সৈয়দ নাসির হুসেন, অখিলেশ প্রসাদ সিং; সিপিআই (CPI)-এর বিনয় বিশ্বম; তৃণমূলের (TMC) দোলা সেনও শান্তা ছেত্রী;শিবসেনার প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী ও অনিল দেশাই
আজ রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডুর সাথে দেখা করতে যাওয়ার কথা রয়েছে এই ১২ জনের।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন