উদ্বোধনের আগেই বিহারের বুড়ি গণ্ডক নদীতে ভেঙে পড়ল কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি করা সেতু। যদিও হতাহতের কোনো খবর নেই এই ঘটনায়। তবে আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খুব শীঘ্রই উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল।
ভারতে ব্রিজ ভেঙে পড়া নতুন নয়। এর আগেও বিভিন্ন রাজ্যে ব্রিজ ভেঙে পড়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। এবার এই তালিকায় নতুন সংযোজন বিহারের বেগুসরাইয়ের ঘটনা। ১৩ কোটি টাকা খরচ করে বানানো হয়েছিল সেতুটি। দু দিন পরেই উদ্বোধন হওয়ার কথা ব্রিজতির। কিন্তু তার আগেই ভেঙে পড়লো। মাঝখান থেকে ভেঙে পড়ায় দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে সেতুটি।
সাহেবপুর কামাল থানার আহক গন্ডক ঘাট থেকে আকৃতি টোলা চৌকি ও বিষনপুরের মধ্যে সেতুটি তৈরি করা হয়েছে। সেতুটি তৈরি হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ফর এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট (NABARD) প্রকল্পের অধীনে। ২০১৬ সালে সেতুর কাজ শুরু হয়। শেষ হয় ২০১৭-তে।
প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, সেতু ভেঙে পড়ায় ২০ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা কার্যত শহর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লেন। সব থেকে সমস্যা হবে ছাত্র, কৃষক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পায়ে হেঁটে বা সাইকেলে করে সেতু পারাপার করা হত। কারণ ভারী যান চলাচল এই সেতুর উপর নিষিদ্ধ ছিল।
উচ্চপদস্থ আর এক আধিকারিক জানান, আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটি উদ্বোধন করা হয়নি। বাসিন্দারা চলাচল করতেন। গত তিন দিনে ২০৬ মিটার লম্বা সেতুতে ফাটল দেখা দেয়। তাই সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয় সেতুটি। এটা প্রযুক্তিগত ত্রুটি নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত মাসেই বিহারের নালন্দাতে নির্মাণাধীন সেতু ভেঙে পড়ায় মৃত্যু হয়েছিল এক শ্রমিকের। সেই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। ২০২০ সালের জুলাই মাসে, গোপালগঞ্জ জেলায় ২৬৩.৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৯.১ কিলোমিটার সাত্তারঘাট সেতুর একটি অংশ মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের উদ্বোধনের ২৯ দিন পরে ধসে পড়েছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন