কোনো সরকার নয়, সাভারকারকে 'বীর' উপাধি দিয়েছেন দেশের ১৩০ কোটি জনগন: অমিত শাহ

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, 'যিনি দু’বার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন, তাঁর জীবন নিয়ে মানুষ প্রশ্ন তোলেন কীভাবে! যাঁরা প্রশ্ন তুলছেন, তাঁদের লজ্জা পাওয়া উচিত।'
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

সাভারকারকে নিয়ে বিরোধীদের একহাত নিলেন অমিত শাহ। যাঁরা সাভারকারের দেশাত্মবোধ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তাঁদের লজ্জা পাওয়া উচিত। শুক্রবার পোর্ট ব্লেয়ারের সেলুলার জেলে এক অনুষ্ঠানে এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

প্রসঙ্গত, সাভারকার জেল থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন ব্রিটিশ সরকারের কাছে মুচলেকা দিয়ে। এই তথ্য রাজনৈতিক মহলে বরাবরই আলোচনার বিষয়। সম্প্রতি এই নিয়ে তর্ক বিতর্ক অন্যমাত্রা নিয়েছে।

সাভারকারের ছবিতে মাল্যদান করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, 'যিনি দু’বার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন, তাঁর জীবন নিয়ে মানুষ প্রশ্ন তোলেন কীভাবে! যাঁরা প্রশ্ন তুলছেন, তাঁদের লজ্জা পাওয়া উচিত।'

তিনি আরও বলেন, 'সাভারকার জীবনে সবকিছুই পেয়েছেন। তারপর তিনি মাতৃভূমির জন্য লড়াইয়ের পথ বেছে নেন। কারাগারে টানা ১০ বছর অমানুষিক অত্যাচার সহ্য করেও হার মানেননি। তাই যেখানে সাভারকর বন্দি ছিলেন, সেই জায়গাকে 'মহাতীর্থ' হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।'

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ
মহাত্মা গান্ধীর পরামর্শেই ব্রিটিশদের কাছে মুচলেকা দিয়েছিলেন সাভারকার: রাজনাথ সিং

বিনায়ক দামোদর সাভারকার পরিচিত 'বীর' সাভারকর নামে। এই নিয়ে অমিত শাহ বলেন, বীর শব্দটি তাঁর নামের সঙ্গে কোনও সরকার নয়, দেশের ১৩০ কোটি মানুষ জুড়েছেন। তাঁকে এই নামেই ডাকেন সবাই। সম্প্রতি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং দাবি করেন যে, মহাত্মা গান্ধীর পরামর্শে সাভার্কার ক্ষমা চেয়ে ওই চিঠি লেখেন।

তিনি বলেন, "সাভারকারের বিরুদ্ধে অনেক মিথ‍্যাচার ছড়ানো হয়েছিল। বারবার বলা হয়েছে তিনি ব্রিটিশ সরকারের কাছে বহুবার ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। আসল সত‍্যি হলো, তিনি নিজের মুক্তির জন্য এই আবেদন করেননি‌। সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী একজন বন্দির ক্ষমা প্রার্থনা করার অধিকার রয়েছে। মহাত্মা গান্ধী তাঁকে ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন জানাতে বলেছিলেন। গান্ধীজির পরামর্শেই তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন এবং গান্ধীজি ব্রিটিশ সরকারের কাছে সাভারকারকে মুক্তি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন।"

যদিও এই বক্তব্য নিয়েও প্রচুর জলঘোলা হয়। কারণ, সাভারকর ক্ষমা প্রার্থনা করে ব্রিটিশ সরকারকে চিঠি লিখেছিলেন ১৯১১ সালে। আর গান্ধীজী দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতে ফেরেন ১৯১৫ সালে। এই তথ্যকে সামনে রেখেই বিরোধীরা তোপ দাগছে কেন্দ্রকে।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in