জম্মু-কাশ্মীরে জল জীবন মিশনে ১৩০০০ কোটি টাকার দুর্নীতি! কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ কংগ্রেসের

People's Reporter: এই পাহাড়প্রমাণ ১৩০০০ কোটি টাকার দুর্নীতির পিছনে জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ সিনহার হাত রয়েছে বলে অভিযোগ।
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি
Published on

জম্মু ও কাশ্মীরের জল জীবন মিশন প্রকল্পে পাহাড়প্রমাণ ১৩০০০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করল কংগ্রেস। পাশাপাশি, দুর্নীতির পিছনে থাকা মূল অপরাধীকে আড়াল করে অভিযোগকারী এক আইএএস অফিসারের বিরুদ্ধেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়ায় বিজেপির সমলোচনা করেছেন কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পবন খেরা।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই জম্মু ও কাশ্মীরে কর্মরত এক আইএএস অফিসার ওই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কেন্দ্রের জল জীবন মিশন প্রকল্পে ব্যাপক আর্থিক দুর্নীতির ছবি প্রকাশ্যে আনেন। এই পাহাড়প্রমাণ ১৩০০০ কোটি টাকার দুর্নীতির পিছনে সেখানকার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ সিনহার হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। কিন্তু বারবার অভিযোগ করার পরেও এই নিয়ে কেন্দ্রের তরফে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। সেই অভিযোগ নিয়ে এবার সরাসরি কংগ্রেসের তরফে আক্রমণ করা হল মোদী সরকারকে।

সোমবার দিল্লিতে দলের সদর দফতরে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির (CWC) সদস্য তথা দলের গণমাধ্যম ও প্রচার বিভাগের চেয়ারম্যান পবন খেরা সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, “আজকাল দেশের মূল সমস্যাগুলি থেকে মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতে বিজেপি সরকার অনেক প্রকল্প ও অনুষ্ঠান করছে। সেরকমই নয়া দিল্লিতে সরকার যখন ঘটা করে জি২০ সম্মেলন আয়োজন করছে, তখনই জম্মু ও কাশ্মীরের জল জীবন মিশন প্রকল্পে সেখানকার লেফটেন্যান্ট জেনারেল (LG) মনোজ সিনহার বিরুদ্ধে ১৩০০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।”

তিনি আরও জানিয়েছেন, “অশোক কুমার পারমার নামের এক দলিত আইএএস অফিসার সম্প্রতি এই দুর্নীতি প্রকাশ্যে এনেছেন। দুর্নীতির অভিযোগ জানিয়ে তফশিলি জাতি/উপজাতি কমিশন ও দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি লিখেও কোনও কাজ হয়নি। মনে হচ্ছে পারমার যে দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসারদের নাম তাঁর অভিযোগের চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, জম্মু ও কাশ্মীরের LG এবং কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত সেই আধিকারিকদের আরও পদোন্নতি দিয়েছেন এবং এই অভিযোগ করার জন্য পারমারকে জলশক্তি বিভাগের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির পদ থেকে সরিয়ে ARI ও প্রশিক্ষণ বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। একবার নয়, পরপর চারবার তাঁকে বদলি করা হয়েছে।”

মোদী সরকারের কাছে খেরা জানতে চেয়েছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কি বলতে পারেন, কেন একজন দলিত আইএএস অফিসারকে ১৩০০০ কোটি টাকার দুর্নীতির পর্দাফাঁস করার পরও বারবার বদলি করে হয়রান করা হচ্ছে? কিন্তু দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অফিসারদের কেন পদোন্নতি দিয়ে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে? তারা কোন শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ মানেন? কে রয়েছে এই পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতির পিছনে? কেন মূল অপরাধীদের আড়াল করা হচ্ছে?” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে এই ঘটনা নিয়ে CBI তদন্তের দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in