রাজধানী নয়াদিল্লীর বেশ কয়েকটি ধাবা এবং অটোমোবাইলের দোকান থেকে অন্তত ১৬ জন শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। রাজৌরি গার্ডেনের সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট আশীষ কুমারের নেতৃত্বে এক যৌথ অভিযানে এই শিশুদের উদ্ধার করা হয়। শ্রম বিভাগ, পুলিশ, অ্যাসোসিয়েশন ফর ভলান্টারি অ্যাকশন, বাচপন বাঁচাও আন্দোলন এবং বাল বিকাশ ধারার আধিকারিকদের সমন্বয়ে গঠিত এক দল এই অভিযান চালায়।
শিশু শ্রমিকদের উদ্ধার করতে শুক্রবার ওই এলাকার অটোমোবাইলের দোকান ও স্থানীয় খাবারের দোকানে অভিযান চালানো হয়। উদ্ধার হওয়া শিশুদের বয়স ১০ থেকে ১৭ বছর। এরা সকলেই বিহার ও উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। জানা গেছে, প্রতিদিন এই শিশুদের ১২ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় কাজ করতে হত। এরা সকলেই অপুষ্টিতে ভুগছে।
রাজৌরি গার্ডেনের এসডিএম এই উদ্ধার অভিযান প্রসঙ্গে বলেন, “এসএইচও রাজৌরি গার্ডেন এবং এসএইচও হরি নগরকে এতদ্বারা শিশু শ্রম (নিষেধ ও নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৮৬), জুভেনাইল জাস্টিস (কেয়ার অ্যান্ড প্রোটেকশন) এর মতো প্রযোজ্য আইন অনুসারে উদ্ধারকৃত শিশুদের নিয়োগকর্তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উদ্ধারের পর, সমস্ত শিশুর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয় এবং পরে শিশু কল্যাণ কমিটির (CWC) সামনে হাজির করা হয়।
শিশুশ্রমের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে, বাচপন বাঁচাও আন্দোলনের পরিচালক মনীশ শর্মা বলেছেন, "এত কঠোর আইন এবং ক্রমাগত নজরদারি থাকা সত্ত্বেও, শিশুদের অন্য রাজ্য থেকে পাচার করা হয় এবং এই ধরনের প্রতিষ্ঠান দ্বারা শোষণ করা হয়, যা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। শিশুরা সমাজের সবচেয়ে দুর্বল অংশ এবং প্রাপ্তবয়স্কদের লোভের কারণে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পিষে ফেলছে এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
তিনি আরও বলেন, "যতক্ষণ না আমরা সমস্ত শিশুকে দাসত্ব ও শিশুশ্রম থেকে মুক্ত করতে পারছি ততক্ষণ এই লড়াই চলছে এবং চলবে। এছাড়াও, এই লড়াইকে আরও জোরদার করার জন্য, পাচারবিরোধী বিল শীঘ্রই পাশ হবে বলে আমরা আশা করি।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন