'সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় SC-তে না এলেও হয়' - ১৬ জানুয়ারি ধার্য করা হল যোশীমঠ মামলার শুনানির দিন

আবেদনে স্বামী সরস্বতী দাবি করেন, 'বড় আকারের শিল্পায়নের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। তাই, অবিলম্বে উত্তরাখণ্ডের জনগণকে আর্থিক সহায়তা এবং ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে।'
যোশীমঠের ফাটল
যোশীমঠের ফাটলছবি - ট্যুইটার
Published on

যোশীমঠ (Joshimath) নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট (The Supreme Court)। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানিয়েছেন, 'এটি দেখার জন্য গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার রয়েছে। সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েই আমাদের কাছে আসা উচিত নয়।' ১৬ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।

যোশীমঠের সংকটকে জাতীয় বিপর্যয় (National Disaster) বলে ঘোষণার আর্জি নিয়ে জরুরি শুনানির আবেদন জানিয়েছিলেন স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী।

আবেদনে মামলাকারী জানিয়েছিলেন,'মানুষের জীবন এবং তাদের বাস্তুতন্ত্রের মূল্যের থেকে কোনও উন্নয়ন বেশি মূল্যবান হতে পারে না। তাই, রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের উচিত, এখনই এইসব কর্মকাণ্ড বন্ধ করা।'

আবেদনে স্বামী সরস্বতী দাবি করেন, 'বড় আকারের শিল্পায়নের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। তাই, অবিলম্বে উত্তরাখণ্ডের জনগণকে আর্থিক সহায়তা এবং ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে।'

স্থানীয়রা বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, 'ক্রমেই তলিয়ে যাচ্ছে যোশীমঠ। বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট সর্বত্রই বিশাল ফাটল দেখা দিয়েছে। অনেক বাড়িঘর ধসে পড়েছে।'

জানা যাচ্ছে, যোশীমঠের এই বিপর্যয় নিয়ে প্রায় ৪৭ বছর আগেই উত্তরাখণ্ড সরকারকে সতর্ক করেছিল মিশ্র কমিটি। কিন্তু, ১৯৭৬ সালের সেই সতর্কবার্তা ও সুপারিশকে গুরুত্ব দেয়নি সরকার। উন্নয়নের নামে ধাপ কেটে, সুড়ঙ্গ খুঁড়ে তৈরি করেছে রাস্তাঘাট। গড়ে তুলেছে নতুন জনবসতি। পর্যটকদের সুবিধার্থে বাণিজ্যিকভাবে নির্মাণ করা হয়েছে ৫ থেকে ৭ তলা বাড়ি। এমনকি, বিষ্ণুগড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য যোশীমঠের পাহাড়ের নীচে টানেল এবং বিষ্ণুপ্রয়াগ বাইপাস খনন করা হচ্ছে। আর, এই অপরিকল্পিত উন্নয়নই ডেকে এনেছে বিপদ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত কয়েক বছরে বেপরোয়া নির্মাণ, জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, এবং জাতীয় সড়ক প্রসস্ত করার কাজে আরও চাপ বেড়েছে প্রকৃতির উপর। উন্নয়নের নেশায় মত্ত মানুষ খেয়ালই করেনি কখন প্রকৃতির সহ্যের বাঁধ ভেঙেছে!

রিপোর্ট বলছে, ২০০৯ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে অন্তত ১২৮টি ধসের মুখে পড়েছে চামোলি-জোশীমঠ এলাকাটি। ২০২১ সালে উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে কাদা-ধসের বন্যায় তলিয়ে গিয়ে প্রায় ২০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তখন থেকেই জোশীমঠের বাড়িগুলিতে বড় বড় ফাটল নজরে আসতে শুরু করে। কিন্তু, তারপরেও প্রশাসনের টনক নড়েনি।

যোশীমঠের ফাটল
Joshimath: যোশীমঠের মতো পরিণতি হতে পারে নৈনিতাল, কর্ণপ্রয়াগেরও! আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in