ঝাড়খণ্ডে ক্রমশ বাড়ছে হাতির আক্রমণের ঘটনা। পরিসংখ্যান বলছে শেষ ১২ দিনে হাতির হানায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন। রীতিমতো আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
গত কয়েকদিন ধরে ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন গ্রামে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দলছু্ট হওয়া একটি হাতি। বনদপ্তর সূত্রে খবর, হাতিটির আক্রমণে শেষ দু'দিনে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও কয়েকদিন বেশির পরিসংখ্যান ধরলে - শেষ বারো দিনে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতেরা ছিলেন হাজারিবাগ, রামগড়, ছাত্রা, রাঁচি এবং লোহারডাঙ্গা জেলার বাসিন্দা।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, হাতিটি সামনে যাকে দেখছে তাকেই আছাড় মারছে বা পিষে দিয়ে চলে যাচ্ছে। চাষের জমি, দোকান সমস্ত কিছুর ক্ষতি করছে। সকলেই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি।
হাতির হামলার জেরে ইটকি ব্লকে প্রশাসনের তরফ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি ভোর ও সন্ধ্যের সময় গ্রামবাসীদের বাড়িতেই থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রাঁচি ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার শ্রীকান্ত ভার্মা বলেন, "দলছুট হয়ে হাতিটি চারিদিকে হামলা চালাচ্ছে। সামনে যা আসছে ভেঙে দিচ্ছে। আর স্থানীয় মানুষও অনেক সময় হাতির কাছে চলে যাচ্ছেন। অনেকে ভিডিও করছেন। এগুলি নিজেদের জন্যই বিপদজনক। সেই জন্যই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।" হাতিটিকে বাগে আনার জন্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিশেষজ্ঞের একটি দলও ঝাড়খণ্ড গেছেন।
উল্লেখ্য, এই ঘটনায় বনদফতরের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবার পিছু ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড সরকারের পক্ষ থেকেও মৃতদের পরিবারগুলিকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতে এই ধরণের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেদিকেও তৎপর রয়েছে বনদফতর।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন