বাম শাসিত রাজ্য কেরালায় ১৮ দিন ধরে চলবে কংগ্রেসের 'ভারত জোড়ো যাত্রা'। অন্যদিকে, আরএসএস পরিচালিত-বিজেপি শাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের এই যাত্রার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে মাত্র ২ (দুই) দিন। আর এই 'ভারত জোড়ো যাত্রা'র সময়সীমা নিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করল সিপিআই(এম)।
শুধু জনসংখ্যা বা আয়তনের দিক থেকে কেরালা-উত্তর প্রদেশের তুলনায় নয়, মতাদর্শগতভাবে বামেদের তুলনায় বিজেপিকে কম গুরত্ব দেওয়া নিয়ে কংগ্রেসকে বিঁধেছে সিপিআই(এম)। সোমবার, সিপিআই(এম)-এর অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে কটাক্ষের সুরে বলা হয়েছে, 'বিজেপি আরএসএসের বিরুদ্ধে লড়াই করার অদ্ভুত উপায়।'
গত শুক্রবার, 'ভারত জোড়ো যাত্রা'র দ্বিতীয় দিনে এক টুইট বার্তায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, 'গত আট বছরে দেশকে ভাগ করে বিজেপি যে ক্ষতি করেছে, এই যাত্রার মাধ্যমে তা পূরণ করার চেষ্টা করছে কংগ্রেস।'
অভিযোগের সুরে রাহুল বলেন, 'দেশে একটি ‘ভিশন’-কে জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।' এই বক্তব্যের মাধ্যমে রাহুল গান্ধী আরএসএস এবং বিজেপিকে নিশানা করেন। আর রাহুলের সেই কথার সুরেই, কংগ্রেসের লক্ষ্যবস্তু নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তুলেছে সিপিআই(এম)।
একদা গান্ধী পরিবারের নির্বাচনী গড় ছিল উত্তরপ্রদেশ। রায় বেরেলি থেকে জিততেন সোনিয়া গান্ধী। আর আমেঠি থেকে জিততেল রাহুল গান্ধী। কিন্তু, ২০১৯-র লোকসভা নির্বাচনে আমেঠিতে তিনি বিজেপির স্মৃতি ইরানির কাছে পরাস্ত হন। এসময় দ্বিতীয় নির্বাচনী ক্ষেত্র হিসাবে কেরালার ওয়ানাদ লোকসভা কেন্দ্রে জিতে মানরক্ষা করেন রাহুল।
২০০৪, ২০০৯ এবং ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে আমেঠি থেকে টানা ৩ বার জিতেছিলেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু, ২০১৯ সালে আসন হারানোর পর, তা পুনরুদ্ধারের জন্য সেভাবে আর চেষ্টা চালায়নি কংগ্রেস। উত্তরপ্রদেশে এতদিন যে মানুষের সমর্থনে কংগ্রেস জিতে এসেছে, তাঁদের কাছে আর পৌঁছাতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না রাহুল গান্ধী ও তাঁর দল কংগ্রেস। এর 'সুফল' আরএসএস-বিজেপি পাচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এদিকে জানা যাচ্ছে, তামিলনাড়ুর পর গত রবিবার সন্ধায় কেরালায় এসে পৌঁছেছে কংগ্রেসের 'ভারত জোড়ো যাত্রা'। যা নিয়ে কংগ্রেস নেতা কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ- উদ্দীপনা চরমে উঠেছে।
কেরালা কংগ্রেসের সভাপতি ও সাংসদ কে সুধাকরণ, রাজ্য বিধানসভার বিরোধীদলীয় নেতা ভিডি সতীসান, এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক তারিক আনোয়ারসহ অন্যান্য সিনিয়র কংগ্রেস নেতারা রাহুল গান্ধীকে এই যাত্রার জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন