২০২৪-র লোকসভা নির্বাচনে মোদী সরকারকে হটাতে নতুন করে জোট বাঁধল বিরোধীরা।
বিরোধী কণ্ঠ রোধ করতে কেন্দ্রীয় সংস্থার মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ আগেই তুলেছিল বিরোধীরা। তবে, সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘মোদীর ভয়-ভীতি প্রদর্শনের রাজনীতি' ব্যানারে জোট বেঁধে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ১৮ টি বিরোধী দল।
সোমবার, গভীর রাতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাসভবনে বৈঠকে বসেন ১৮ টি বিরোধী দলের শীর্ষ নেতারা। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেন, ‘গণতন্ত্রকে ধ্বংসকারী মোদী শাসনের বিরুদ্ধে একযোগে, একসুরে সরব হবেন বিরোধীরা।’
আদানির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সম্পর্ক টেনে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে তিনি বলেন, ‘১৪০ কোটি মানুষের স্বার্থকে পদদলিত করছেন তিনি (মোদী)।’
এক টুইট বার্তায় খাড়গে বলেন, ‘একজন মানুষকে বাঁচাতে, ১৪০ কোটি মানুষের স্বার্থ পদদলিত করছেন মোদীজি। যে পার্লামেন্টে জনগণের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়, প্রধানমন্ত্রীর 'পরম মিত্রকে' রক্ষা করার জন্য তা স্তব্ধ করছে বিজেপি। যদি কোনো অন্যায় না হয়ে থাকে, তাহলে যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্তের জন্য বিরোধীদের দাবি কেন মানছে না সরকার?’
জানা যাচ্ছে, লোকসভায় রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ, আদানি-হিন্ডেনবার্গ ইস্যুতে সংসদীয় যৌথ কমিটি (JPC) তদন্তের জন্য এবং বিরোধী নেতাদের উপর কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহার নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে এক হয়ে লড়াই করবে বিরোধীরা।
এদিনের এই বৈঠকে হাজির ছিল ডিএমকে, এনসিপি, জেডি(ইউ), বিআরএস, সিপিআই(এম), সিপিআই, আম আদমি পার্টি, এমডিএমকে, কেসি, তৃণমূল কংগ্রেস, আরএসপি, আরজেডি, এনসি, আইইউএমএল, ভিসিকে, সমাজবাদী পার্টি এবং জেএমএম-এর প্রতিনিধিরা।
সম্প্রতি, ইডির ডিরেক্টর এস কে মিশ্রকে একটি চিঠি পাঠায় বিরোধী নেতৃত্ব। তাতে সরাসরি প্রশ্ন তোলা হয়, ‘বিজেপি বিরোধী দলের নেতানেত্রীদের বাড়িতে দ্রুত পৌঁছে গেলেও আদানি ইস্যুতে এখনও প্রাথমিক তদন্তে নামেনি কেন? এভাবে মুখ ঘুরিয়ে থাকতে পারে না এজেন্সি। এখনই আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন