একটা বিশেষ দিনে রেকর্ড গড়ার জন্য আগে ও পরের দিনে টিকাকরণের রাশ টানা হয়েছে। এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। বিশেষ দিনটি হল ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন। ওই দিন টিকা দেওয়া হয়েছিল দু'কোটি ৩১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৫৬১ জনকে। ১৬ তারিখ টিকা হয়েছিল ৬৬ লাখ ৮১ হাজার ১৮২ জনের। ১৮ তারিখ টিকা হয়েছিল ৮৫ লক্ষ ২৫ হাজার ৭০০ জনের। ১৯ তারিখে সেই সংখ্যা আরও তলানিতে ঠেকেছে। শেষ ২৪ ঘন্টায় টিকাকরণ হয়েছে মাত্র ৩৭ লাখ।
অভিযোগ, দুই কোটির বেশি টিকাকরণের জন্য আগে ও পরে দিনে টিকাকরণের রাশ টানা হয়েছে। আর তা দিয়ে নিজেদের পিঠ নিজেরাই চাপড়াচ্ছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী কটাক্ষ করে বলেন 'ইভেন্ট খতম'। তিনি আরও বলেন 'তাকিয়ে রইলাম, আবার কবে ২.১ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। এটাই এখন দেশে দরকার।'
পরিসংখ্যান বলছে, যদি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্কদের সবার টিকাকরণ সম্পন্ন করতে হয়, তাহলে প্রতিদিনই মোদির জন্মদিন পালন করা দরকার। এই সময় ১১০ কোটি ডোজ প্রয়োজন। কেন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী প্রতিদিন ১ কোটি করে দেওয়া দরকার।
রাহুল গান্ধী কোউইন ওয়েবসাইট থেকে কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে গত কয়েকদিন ধরে টিকার সংখ্যা কতটা কম হয়েছে। কোউইন অনুযায়ী, সেই দিনগুলি হল ৩১ আগস্ট, ২৭ আগস্ট, ৬ সেপ্টেম্বর। অথচ তার আগের দিনগুলোতে টিকাকরণ হয়েছে লক্ষণীয়ভাবে কম সংখ্যায়। কোনওভাবেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নয়, তা স্পষ্ট।
এতে মোদি সরকারের লাভ হলেও দেশের মানুষের বিশেষ কোনও উন্নতি হবে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, বেশিরভাগ দিন কম টিকাকরণ করিয়ে একদিনে কোটি টিকাকরণের মধ্যে বিশেষ লাভ হবে না। লক্ষ্য পূরণের জন্য প্রতিদিনই মোদির জন্মদিনের মতো ইভেন্ট হওয়া প্রয়োজন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন