গাছের ডালে চুড়িদারের ওড়না বাঁধা, তাতে ঝুলছে দুই দলিত কিশোরীর নিথর দেহ। মঙ্গলবার সকালে এমনই এক মর্মান্তিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকল উত্তরপ্রদেশের ফারুকাবাদবাসী। পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ তোলা হচ্ছে। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে এটা আত্মহত্যা মনে হচ্ছে। তবে তদন্ত শুরু হয়েছে।
নিহত ওই দুই কিশোরীর বয়স ১৮ বছর এবং ১৫ বছর। টেলিগ্রাম অনলাইনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জন্মাষ্টমীর দিন অর্থাৎ সোমবার গ্রামে এক অনুষ্ঠান ছিল। ওই দুই কিশোরী রাত ৯ টা নাগাদ অনুষ্ঠান দেখতে যান। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। মঙ্গলবার সকালে পাশের এক আম বাগান থেকে ওই দুই কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। গাছের ডাল থেকে ওড়নার দুই প্রান্তে দুই কিশোরীর দেহ ঝুলছিল। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই দুই কিশোরী বান্ধবী ছিল। এবং দু’জনেই দলিত সম্প্রদায়ের। মৃতদেহগুলি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে, দুই কিশোরী আত্মহত্যা করেছে এটা মানতে নারাজ তাদের পরিবার। পরিবারের দাবি, তাদের খুন করা হয়েছে। এক নিহত কিশোরীর বাবা জানিয়েছেন, "প্রথমে একসঙ্গে ৭.৩০টা নাগাদ বেরিয়েছিল। ফিরে এসে আবার ৯টা নাগাদ বেরোয়। মন্দিরে যায়। রাত বাড়লেও বাড়ি ফেরেনি। মন্দিরের কাছেই বোনের বাড়ি। সেখানেও খোঁজ নিতে যাই। কিন্তু পাইনি। গ্রামেও বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিই। আজ ভোর ৫টা নাগাদ আমার শ্যালিকা জানায়, আমবাগানে দু'টি দেহ ঝুলতে দেখেছে সে। খবর পেয়েই দৌড়ে যাই। দুজনের দেহ ঝুলছে। দু'জনকেই খুন করা হয়েছে। ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে গলায় ওড়না বেঁধে।“
এই ঘটনায় জেলা পুলিশ প্রধান অলোক প্রিয়দর্শী জানিয়েছেন, ‘‘ওই দুই কিশোরী ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। আমরা ঘটনাস্থল থেকে একটি মোবাইল ফোন এবং একটি সিম কার্ড পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এটা আত্মহত্যা না খুন, তা বলা যাবে ময়নাতদন্তের পরেই।’’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন