বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণ কাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গ থেকে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। শুক্রবার সকালে কাঁথি থেকে এই দুজনকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। তাদের কলকাতাতে নিয়ে আসা হচ্ছে। জানা গেছে, বেশ কয়েকদিন ধরে তারা ভুয়ো পরিচয় নিয়ে কাঁথির এক হোটেলে আত্মগোপন করে ছিল।
জানা গেছে, ওই দুই সন্দেহভাজনের নাম মুসাভির শাজ়িব হুসেন এবং আবদুল মাঠিন আহমেদ। দুজনের মধ্যে একজন বিস্ফোরণ কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড বলে দাবি করেছে এনআইএ। পুরো ঘটনা ঘটানোর পিছনে আবদুল মাঠিন আহমেদের যোগ আছে বলে সন্দেহ করছে এনআইএ। এনআইএ বেঙ্গালুরুর টিম, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক, কেরালা এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের যৌথ অভিযান চালিয়ে ওই দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত ১ মার্চ বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণ ঘটে। সেই ঘটনায় ১০ জন আহত হন। পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য আইইডি ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু সেই বিস্ফোরকের মাত্রা খুব বেশি না থাকায় অভিঘাত তেমন জোরালো হয়নি। ৩ মার্চ ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ। এরপরেই আত্মগোপন করেন ওই দুই ব্যক্তি।
এনআইএ তাদের খোঁজ পেতে আর্থিক পুরষ্কার ঘোষণা করে। ওই দুই সন্দেহভাজনের খোঁজ দিলে মোট ২০ লক্ষ টাকা পুরষ্কার দেবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এনআইএ। এই ঘটনায় এর আগে গত ২৬ মার্চ গ্রেফতার করা হয়েছে আর এক অভিযুক্ত মুজ়াম্মিল শরিফকে।
বাংলা থেকে ওই দুই অভিযুক্ত গ্রেফতার হওয়ায় রাজ্য সরকারের তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “দুর্ভাগ্যবশত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনে পশ্চিমবঙ্গ সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে।“
অন্যদিকে, ওই দুই সন্দেহভাজন কাঁথির কাছ থেকে গ্রেফতার হওয়ায় বিজেপিকেই তোপ দেগেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “এই গ্রেফতার কোথা থেকে করা হয়েছে? কাঁথি। আমরা সবাই জানি কোন পরিবার এবং বিজেপির প্রধান নেতা কাঁথি থেকে বেআইনি কার্যকলাপ চালায়। আমি রাজ্যের সংস্থাগুলিকে এই বিষয়ে তদন্ত করার অনুরোধ করছি যে এরকম অ্যান্টি-ফোর্সকে আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে ওই পরিবারের কী যোগসূত্র রয়েছে।“
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন