ফের ‘দিল্লি চলো’র ডাক দিয়েছে প্রায় ২০০টি কৃষক সংগঠন। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য এবং আগের আন্দোলনের ঘটনায় কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার – মূলত এই দুটি দাবিতে মঙ্গলবার দিল্লিতে জড়ো হবেন লক্ষাধিক কৃষক। তার আগে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হল দিল্লি।
কোনওভাবেই কৃষকরা যাতে দিল্লিতে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সিংঘু, গাজিপুর এবং টিকরি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েনের পাশাপাশি কয়েক স্তরীয় সিমেন্টের ব্যারিকেড লাগানো হয়েছে। এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, বিভিন্ন রাস্তায় পেরেক পোঁতা হয়েছে, যাতে কৃষকরা ট্রাক্টর বা অন্য গাড়ি নিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করলে টায়ার পাংচার হয়ে যায়। বাসস্ট্যান্ড, মেট্রো স্টেশন, রেলস্টেশনে কঠোর নজরদারি রাখার জন্য বেশ কয়েকটি দল গঠন করা হয়েছে যাতে কৃষকরা অন্য কোনও উপায়ে শহরে প্রবেশ করতে না পারে।
আম্বালা, জিন্দ এবং ফতেহাবাদ জেলায় পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্ত সিল করা হয়েছে। আন্তঃরাজ্য সীমান্তে রোড স্পাইক, কাঁটাতারের বেড়া লাগানো হয়েছে। আম্বালা, কুরুক্ষেত্র, কাইথাল, জিন্দ, হিসার, ফতেহাবাদ ও সিরসা জেলায় রবিবার রাত থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। দুটি বড় স্টেডিয়ামকে অস্থায়ী কারাগারে রূপান্তর করেছে হরিয়ানার বিজেপি সরকার। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে সিরসার চৌধুরী দলবীর সিং ইন্ডোর স্টেডিয়াম এবং ডাবওয়ালির গুরু গোবিন্দ সিং স্টেডিয়ামে বিক্ষোভকারী কৃষকদের আটক করে রাখা হবে।
রবিবার থেকেই উত্তর-পূর্ব দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশ-দিল্লি সীমানায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে দিল্লি পুলিশ। ১১ মার্চ পর্যন্ত বড় জমায়েতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ট্রাক্টর, ট্রলি, বাস, ট্রাক, বাণিজ্যিক গাড়ি, ব্য়ক্তিগত গাড়ি বা ঘোড়াতেও উত্তরপ্রদেশ থেকে দিল্লিতে ঢোকার অনুমতি নেই।
কৃষকদের অন্যান্য দাবিগুলি হল স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন, কৃষক ও কৃষি শ্রমিকদের জন্য পেনশন চালু, কৃষি ঋণ মওকুফ, উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে নিহত কৃষকদের ন্যায় দেওয়া।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন