কেদারনাথ মন্দিরের সোনা কেলেঙ্কারি নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন জ্যোতির্মঠের শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ। তিনি দাবি করেছেন মন্দির থেকে ২২৮ কিলোগ্রাম সোনা গায়েব হয়ে গেছে এবং এই ঘটনার কোনও তদন্ত হয়নি।
সোমবার মুম্বাইতে উদ্ধব ঠাকরের বাসভবন 'মাতোশ্রি'-তে এসেছিলেন স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ। সেখানেই সাংবাদিকরা তাঁকে দিল্লিতে কেদারনাথ মন্দিরের প্রতিরূপ নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন করেন। তখনই সোনা কেলেঙ্কারির কথা প্রকাশ্যে আনেন তিনি। তাঁর মতে, আবার একটি মন্দির নির্মাণের অর্থ আবার কেলেঙ্কারি।
ইন্ডিয়া টুডে এনই-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, “কেদারনাথে অনেক বড় সোনার কেলেঙ্কারি হয়েছে। কেন প্রকাশ্যে সেই প্রসঙ্গ তোলা হয়নি? সেখানে কেলেঙ্কারি করার পর, এখন দিল্লিতে আর একটি কেদারনাথ তৈরি করার কথা বলা হচ্ছে। তারপর আবার একটি কেলেঙ্কারি হবে। কেদারনাথ থেকে ২২৮ কেজি সোনা হারিয়ে গেছে।… কোনও তদন্ত শুরু হয়নি। এর জন্য দায়ী কে?... এখন বলছে তারা দিল্লিতে কেদারনাথ তৈরি করবে, এটা হতে পারে না। কেদারনাথ ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গের একটি। তার জায়গা নির্দিষ্ট। দিল্লিতে আর একটি কেদারনাথ হতে পারে না।"
উদ্ধব ঠাকরের সাথে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "তিনি আমাকে ডেকেছিলেন, আমি এসেছি। আমরা হিন্দু ধর্ম পালন করি। আমরা 'পুণ্য' ও 'পাপ'-এ বিশ্বাস করি। বিশ্বাসঘাতকতাকে সবচেয়ে বড় পাপ বলা হয়। উদ্ধব ঠাকরের সাথেও তাই হয়েছে। তাঁর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করায় আমরা ব্যথিত। তিনি আবার মুখ্যমন্ত্রী না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কষ্ট কমবে না।"
সম্প্রতি স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দের সাথে দেখা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অনন্ত আম্বানি এবং রাধিকা মার্চেন্টের বিবাহে উপস্থিত ছিলেন দুজনই। সেখানেই সাক্ষাৎ হয় দু’জনের। সেই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, তিনি (প্রধানমন্ত্রী মোদি) আমার কাছে এসে 'প্রণাম' করেছিলেন। এটা আমাদের নিয়মের মধ্যেই পড়ে যে, যেই আমাদের কাছে আসবে আমরা তাঁকেই আশীর্বাদ করব। নরেন্দ্র মোদিজি আমাদের শত্রু নন। আমরা তাঁর শুভাকাঙ্খী এবং সবসময় তাঁর কল্যাণের জন্য কথা বলি। যখনই উনি কোনও ভুল করেন, আমরা তখনই সেই নিয়ে কথা বলি।“
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন