মিজোরামে নির্মীয়মাণ রেলব্রিজ ভেঙে কমপক্এমা২৬ জন শ্রমিক প্রাণ হারালেন। যার মধ্যে প্রচুর বাংলার শ্রমিকও রয়েছেন। বাংলার শ্রমিকদের মৃত্যুর জন্য মমতা ব্যানার্জির সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন মহম্মদ সেলিম।
ঘটনাটি ঘটেছে মিজোরামের সাইরাং এলাকার কুরুং নদীর ওপর নির্মীয়মাণ রেলব্রিজে। যেটা আইজল থেকে ২১ কিমি দূরে অবস্থিত। সকাল ১১টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। জানা গেছে ৩৫-৪০ জন শ্রমিক ব্রিজের ওপর কাজ করছিলেন। ভূপৃষ্ঠ থেকে যার উচ্চতা ৩৪০ মিটারেরও বেশি ছিল। আচমকাই সেতুটি ভেঙে পড়ে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, আপাতত ২৬ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই পুলিশের অনুমান।
জানা যাচ্ছে, মালদহের রতুয়া থেকে ৩৫ জন শ্রমিক মিজোরামে ওই সেতু নির্মাণের কাজে গিয়েছিলেন। ঘটনার সময়ও তাঁরা ওই সেতুতেই কর্মরত ছিলেন। অনেকেরই মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। গ্রামের লোক তাঁদের সাথে যোগাযোগও করতে পারছেন না। তবে এনাদের মধ্যে ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়েছে এবং কতজন আহত হয়েছেন তার সঠিক তথ্য মেলেনি।
যা নিয়ে মমতা ব্যানার্জির সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, "সেতু দুর্ঘটনায় মৃত শ্রমিকদের পরিবারগুলির প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। প্রায় ২০ জনের কাছাকাছি দেহ উদ্ধার হয়েছে। যার বেশিরভাগই পশ্চিমবঙ্গের মালদহের শ্রমিক। পশ্চিমবঙ্গ এখন বেকারত্ব ও পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবেই পরিচিত।"
ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা। তিনি বলেন, "মর্মান্তিক দুর্ঘটনার জন্য আমি শোকাহত। সজনহারা পরিবারের প্রতি আমি গভীর সমবেদনা জানাই। যাঁরা আহত তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। যাঁরা উদ্ধারকাজে এগিয়ে এসেছেন তাঁদের সকলকে আমার অভিনন্দন।" শোক প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, এনডিআরএফ, রাজ্য প্রশাসন এবং রেলের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে রয়েছেন। দ্রুত উদ্ধারকাজ চলছে। মৃতদের পরিবারের জন্য ১০ লাখ টাকা, গুরুতর আহতদের জন্য ২ লাখ এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন