স্বাধীনতা দিবসের আগে ফের উত্তপ্ত জম্মু ও কাশ্মীর। জঙ্গি হানায় প্রাণ হারিয়েছেন বিহারের এক পরিযায়ী শ্রমিক।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে জম্মু-কাশ্মীরের বান্দিপোরে হামলা চালায় জঙ্গিরা। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। গুলির শব্দ পেয়ে ঘর থেকে বাইরে আসেন আমরেজ নামে এক পরিযায়ী শ্রমিক। সে সময়ই জঙ্গিদের ছোঁড়া গুলি লাগে তাঁর শরীরে। রক্তাক্ত অবস্থায় তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে, ডাক্তারা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
একদিকে, রুজি-রুটির টান। অন্যদিকে, জঙ্গি হানা, উত্তপ্ত জম্মু ও কাশ্মীর। দুই অবস্থার মাঝে পড়ে বারে বারে প্রাণ হারাচ্ছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। ২৬ জুলাই, সংসদে কেন্দ্র জানায়, ২০১৭ সাল থেকে এযাবৎ কালে জম্মু ও কাশ্মীরে খুন হয়েছেন ২৮ জন পরিযায়ী শ্রমিক। এরমধ্যে রয়েছেন বিহারের ৭ জন পরিযায়ী শ্রমিক। তবে, শুক্রবারের ঘটনার পর সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯।
প্রসঙ্গত, গত ৪৮ ঘণ্টায় কাশ্মীরে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার হামলা চালাল জঙ্গিরা। এর আগে বৃহস্পতিবার রাজৌরি টাউন থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে হামলা চালায়। আচমকা সেনাশিবিরে ঢুকে প্রচণ্ড গুলিবর্ষণ শুরু করে জঙ্গিরা। পালটা গুলি চালায় সেনা জওয়ানরা। বেশ কিছুক্ষণ ধরে গুলির লড়াইয়ের পর শহিদ হন তিন জওয়ান। সেনার পালটা গুলিতে দুই আত্মঘাতী জঙ্গিও নিহত হয়। কিন্তু তারপরেও থেমে নেই জঙ্গি হানা।
সম্প্রতি, লোকসভায় এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানান, জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি হামলা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। ২০১৮ সালে উপত্যকায় ৪১৭ টি জঙ্গি হানা ঘটেছিল। তবে, ২০২১ সালে তা কমে হয়েছে ২২৯।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন